সম্পর্কের ইতি হোক সমঝোতায়

দীর্ঘদিন একসঙ্গে চলার পথ মোড় নিয়েছে দুদিকে। ভেঙে যেতে চলেছে এতোদিনের লালিত প্রেমের সম্পর্ক। নিজের পরিবেশ, পরিস্থিতি, সামর্থ, যোগ্যতা সবকিছুর বাইরে চলে গেছে সে সম্পর্কের অবস্থান। এমন একটি সম্পর্ককে বয়ে বেড়ানো আপনার জন্য প্রতি মুহূর্তের পীড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না এই মুহূর্তে ঠিক কি করা উচিৎ? সম্পর্কের ইতি হলেও তা যেন সমঝোতার মাধ্যমে হয়। না হলে বিবাদের এই সুযোগে অপর পক্ষ আপনাদেরই হেয় প্রতিপন্ন করবে। এমনই কঠিন সময়ে আপনাকে বুঝেশুনে কিছু কাজ করতে হবে…

নিজেদের বোঝাপড়া

কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দুজনের মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বসুন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি আপনার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক না হন, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি না করায় ভলো। নিজেদের সমস্যা নিয়ে স্বউদ্যোগী বোঝাপড়া হওয়া উচিৎ।

অভিযোগ উপস্থাপন

পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ মনের মধ্যে না রেখে দুজনের কাছে পরিষ্কার হয়ে নেয়াটা জরুরি। তাতে দুজনের মধ্যে বিদ্যমান ভুলগুলো স্পষ্ট হয়। কেউ কারো কথা মনোযোগ দিয়ে না শুনলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই প্রথমে সমস্যার ধরন কি এবং এর সমাধানের উপায় কি সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। সমাধান যদি বিচ্ছেদে হয় তাহলে দুজনকে সেটা মেনে নিতে হবে। আর সেটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

নিজে ভাবুন

আপনি যখন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ওপর ভীষণ রকমের বিরক্ত, তখন সামান্য কারণেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বসছেন। এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে হতে পারে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলার আগে ঠাণ্ডা হয়ে বসে সমস্যাটি নিয়ে ভালোভাবে ভাবুন। তারপর তার সঙ্গে কথা বলুন।

সম্পর্কের আসল ধরণ

সময়ের সঙ্গে অনেক সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও বেশি সত্য। আপনারা যখন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন, তখন দেখবেন সমাধান হাতের নাগালেই। মাথা ঠাণ্ডা হলে হয়তো মনে হতে পারে যে সিদ্ধান্তে যাচ্ছিলেন তা ঠিক ছিলো না। প্রকৃতপক্ষে কোনো সম্পর্কই ঠুনকো নয়। তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে সময় নিন, ভাবুন এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজুন।



মন্তব্য চালু নেই