সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রথমেই আদালতে নয়

সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজেদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এখন থেকে প্রথমেই আদালতে যেতে হবে না। নিজেদের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রথমে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি, তারা না পারলে মন্ত্রিসভা কমিটি দেখবে। এরপর যদি সমাধান না হয় তাহলে শেষ পর্যায়ে আদালতে যাওয়া যাবে। এমন সুযোগ রেখে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলাদা দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেক মামলা রয়েছে। এতে করে কাজে নানা সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা দূরীকরণের জন্য আলাদা দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আলোচনা শেষে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি আরো বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হলে তা ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনগত সহায়তা কমিটি’ দেখবে। কমিটি সমস্যার সমাধান করতে না পারলে ‘মন্ত্রসভা কমিটি’র কাছে সহায়তা চাওয়া যাবে। এই কমিটিও এর সমাধান করতে না পারলে পরবর্তীতে আদালতে যাওয়ারও সুযোগ থাকছে।

কমিটি গঠন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনগত সহায়তা কমিটি হবে ৫ সদস্যের। এর প্রধান হবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী। এ ছাড়াও আইন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সদস্য থাকবেন। এই কমিটি চাইলে নতুন সদস্য নিতে পারবে। সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদেরও মতামত নিতে পারবে এই কমিটি। আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনগত সহায়তা কমিটি সমস্যার সমাধান করতে না পারলে মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে আপিল করা যাবে। মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান হবেন একজন সিনিয়র মন্ত্রী। কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাতজন সদস্য থাকবেন।

মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, অচিরেই এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এই পরেই দুই কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৫ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।



মন্তব্য চালু নেই