হরিলুট আর কাকে বলে! সরকারি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ!

চুয়াডাঙ্গা: দর্শনায় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের অফিস কাম ল্যাবরেটরি ভবন নির্মাণে লোহার রডের পরিবর্তে কাটা বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়ছে। খোয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে পরিত্যক্ত সুরকি।

তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যায়ে গত ডিসেম্বর মাসে ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঢাকার শেওড়াপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইসিএল) তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জয় কনস্ট্রাক্শন ভবনটি নির্মাণ কাজ করছে। তবে ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে অনেক স্থানে লোহার রডের পরিবর্তে কাটা বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট এবং খোয়ার পরিবর্তে পরিত্যক্ত সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে জানান, বৃহস্পতিবার ভবনটি পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন তারা। মহাপরিচালকের নির্দেশে নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আইননের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তবে ইসিএলের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, তার অজান্তেই এসব অনিয়ম হয়েছে। এতে ঠিকাদারী ও তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তবে লুপ লাইনে সমস্যা হলেও পুরো ভবনে আর কোনো অয়িনম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই