সরকার রক্তাক্ত পন্থায় প্রতিবাদ দমন করছে

ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওকালে বুধবার পুলিশের হামলায় নার্স আহত হওয়া এবং মামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার এখন কেবল বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন সংগ্রামে নয়, বরং দাবি আদায়ের জন্য পেশাজীবীদের প্রতিবাদকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নির্মমতায় এদেশের মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার আন্দোলতরত নার্সদের কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। তারা লাঠিচার্জ করে এবং ও গরম পানিতে অর্ধশতাধিক নার্সকে আহত করেছে। পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে সালমা আক্তার নামে এক নার্সের গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সহমর্মিতা, সহানুভূতি কিংবা আলাপ-আলোচনা উপেক্ষা করে এবং ন্যায্য
দাবি ও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি তোয়াক্কা না করে মানুষের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানোই যেন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রধান দায়িত্ব। এসব ন্যাক্কারজনক, অমানবিক ও হৃদয়হীন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। আর যে কারণে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আইনের বাহিনী না হয়ে এখন আওয়ামী লীগের মার্সিনারিতে পরিণত হয়েছে। গোটা দেশটা যেন আওয়ামী পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে তারা মগের মুল্লুক কায়েম করেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসাসেবায় নার্সদের ভূমিকা অপরিহার্য। অথচ সরকার সেবাকার্যের মতো মহান পেশায় নিয়োজিত নার্সদের জীবন-মানের অবস্থা উন্নতির দিকে দৃষ্টি না দিয়ে চরম অবহেলা করে চলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওকালে নার্সদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা এবং একজন নার্সের গর্ভপাতের ঘটনা নজীরবিহীন অমানবিক নিষ্ঠুরতা। এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবলমাত্র বন্যশাসনেই সম্ভব হয়- যে রাজ্যে আইন, ন্যায়বিচার ও মানবতাবোধ নেই, আছে শুধু প্রতিহিংসা, আক্রমন, নিপীড়ণ-নির্যাতন আর রক্তারক্তি ও সন্ত্রাস।’

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে নার্সদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানান এবং তিনি আহত নার্সদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই