সর্বত্র ছোট টাকার হাহাকার, এরই মধ্যে এই ট্যাক্সি ড্রাইভার যা করলেন, তা অবিস্মরণীয়…

প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে গত মঙ্গলবার রাত থেকেই। বিভিন্ন মানুষ এর প্রশংসা করেছেন, আবার বহুজনই এর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তবে যে যাই বলুক না কেন, এই সিদ্ধান্ত যে ঐতিহাসিক, তা বলাই বাহুল্য। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন ঘটনা সামনে উঠে আসছে। এর কোনওটা গুজব, কোনওটা আবার সত্যি। শোনা গিয়েছে, কোথাও বড় নোট নিয়ে হয়রানির শিকার হওয়া রোগীকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে পুলিশ, কোথাও আবার নোট হাহাকারের মধ্যেই বিনা টিকিটের যাত্রীকে ধরেও ছেড়ে দিয়েছেন টিকিট পরীক্ষক।

তবে এসবের উর্ধ্বে দিল্লির এক ট্যাক্সি ড্রাইভার যা করলেন, তা সত্যিই মনে রাখার মতো। বিপ্লব অরোরা দিল্লির এক জনপ্রিয় স্থপতি। সেদিন রাতে স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য তিনি একটি ক্যাব ভাড়া করেন। ওই ক্যাবটির চালক ছিলেন বিপিন কুমার। গাড়ি বুক করেই বিপ্লব-এর খেয়াল হয়, তাঁর কাছে ৫০০-র নোট ছাড়া আর কিছু নেই। এদিকে স্টেশনে সময়মতো পৌঁছানোও জরুরি। উপায়ন্তর না দেখে ট্যাক্সিতে উঠেই পড়েন বিপ্লব। এরপর তাঁর খেয়াল হয়, ওলা অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা রয়েছে যা দিয়ে তিনি মেটাতেই পারেন ট্যাক্সিভাড়া। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর চিন্তা কিছুটা লাঘব হয়।

কিন্তু সমস্যা এমন এক জিনিস, যা আহ্বান না করলেও নিজে থেকে চলে আসে। বিপ্লবের ক্ষেত্রেও এর ব্য়তিক্রম হয়নি। স্টেশনে পৌঁছানোর পর ড্রাইভার যে ভাড়া চান, তা বিপ্লবের ওলা অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার চেয়ে অনেকটাই বেশি। এদিকে তাঁর কাছে সব ৫০০-র নোট। স্বভাবতই ফের বিপাকে পড়েন বিপ্লব। কিন্তু বিপ্লবকে এই দ্বিধার থেকে মুক্তি দিতে হাত বাড়ান ড্রাইভার বিপিন-ই। তিনি বলেন ‘বাকি টাকাটা ছেড়েই দিন স্যার।

দু’পয়সা কম কামাবো, একটু সমস্যা হবে ঠিকই, কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি সমস্যা তো সবারই হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দেশের জন্য এইটুকু তো করাই যায়। আপনি যান, নিশ্চিন্তে ট্রেন ধরুন।’

এই ঘটনাটি ওলা ক্যাব-এর ফেসবুক পেজ থেকে সর্বপ্রথম পোস্ট হয়। তারপর ভাইরাল হয়ে যায় স্যোশাল মিডিায়ার সর্বত্র।



মন্তব্য চালু নেই