‘সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। এ বাহিনীর সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে আয়োজিত গ্র্যাজুয়েট সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাহিনীর সুনাম যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশের মর্যাদা সবার আগে।’

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৬টি দেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মধ্যে ১১টিতে ৮ হাজার ৫০১ জন বাংলাদেশি কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশের মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব (ফিল্ড সাপোর্ট) অ্যান্থনি ব্যানবারি এক সংবাদ সম্মেলনে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ইউরোপীয় সৈন্য ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে সে দেশের শিশুদের যৌন নির্যাতন করেছেন। ২০১৪ সালে এই অপরাধ সংঘটিত হয়।’

ওই দিন সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অ্যান্থনি ব্যানবারি। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের জন্য শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এমন জঘন্য কাজ করতে পারেন, তা ভাবা যায় না।’ তিনি আশ্বাস দেন, ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হবে। দায়বদ্ধতা ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যৌন নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জাতিসংঘ এই তথ্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দেশগুলো হলো ফ্রান্স, জর্জিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, নাইজার, সেনেগাল এবং অন্য আরেকটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বাংলাদেশি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই