সাকা চৌধুরীরা এখনো বিএনপির কমিটিতে!

২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল রাজনীতি ছেড়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এম মঞ্জুর আলম।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মাধ্যমে তিনি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

দল ছাড়ার এত দিন পর আগের পদ-পদবি নিয়ে এখনো বিএনপির কমিটিতে আছেন এই দুই নেতা!

বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই তালিকায় তাদের ছবির সঙ্গে নামসহ পদবির উল্লেখ রয়েছে।

ওয়েবসাইটটি দেখভালের সঙ্গে যুক্ত বিএনপির কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চেয়ারপারসনের নির্দেশ ছাড়া এতে পরিবর্তন করা যায় না। তবে যারা দল ছেড়েছেন এবং মারা গেছেন, তাদের জায়গাগুলো আসন্ন কাউন্সিলে পূরণ হলে তালিকা আপডেট করা হতে পারে।

আর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি বলেন, “এটা হয়তো আপডেট করা হয়নি। কাউন্সিল সামনে রেখে শিগগিরই এটা আপডেট করা হবে।”

এদিকে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা খুব শিগগির আমাদের অফিসিয়াল সাইট আপডেট করার কাজে হাত দেব।তখন নতুন করে সবকিছু ঠিকঠাক করা হবে।আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এম মঞ্জুর আলমের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।তবে যাই হোক আমরা যখন সাইট আপডেটের কাজে হাত দেবো তখন বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এদিকে শুধু দলত্যাগীরাই নন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যে যারা মারা গেছেন, তাদের নামও ওয়েবসাইটের তালিকায় দেখা যাচ্ছে।

তাদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ, যিনি মারা গেছেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর।

গত বছরের ৩ মে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টু। ইতিমধ্যে তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদকে।

এ ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২২ নভেম্বরে ফাঁসি কার‌্যকর হওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নামও তালিকায় রয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি মারা যান স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. আর এ গণি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির https://www.bnpbd.org/home/category/21 ওয়েবসাইটে এই নেতারও ছবিসহ নাম-পদবি দেখা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গণমাধ্যমে দলের বিবৃতি ও বক্তব্য তুলে ধরা হয় বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে। তবে ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করা হয় মূলত বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে।ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই