সাকা-মুজাহিদের রিভিউ দ্রুত শুনানির আবেদন

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ দ্রুত শুনানি করতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির কাছে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চেম্বার জজ আদলতে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টে এখন ছুটি চলছে।

গতকাল বুধবার সকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের পক্ষে রায় রিভিউয়ের (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছিল তাদের দুই আইনজীবী।

সাকার পক্ষে আবেদন করেন তার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফেসানী এবং মুজাহিদের পক্ষে আবেদন করেন তার আইনজীবী শিশির মো. মুনির।

মুজাহিদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি গ্রাউন্ড দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। রিভিউয়ে তিন শতাধিক পৃষ্ঠার পেপারবুক দাখিল করা হয়েছে।

মুজাহিদের আপিল আবেদনের পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাকা চৌধুরীর পক্ষে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ১০৮ পৃষ্ঠার ওই আবেদনে ১০টি যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়েছে।

রিভিউ আবেদন করার পর বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, মুজাহিদ আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন, তা ওই সময়ের বিভিন্ন পত্রিকায় রয়েছে। পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে তিনি এসব অপরাধ করেছেন।

অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমি আশা করি, তাদের রিভিউ আবেদনের ওপর কোনো নতুন আদেশ তারা পাবেন না এবং মৃত্যুদণ্ড বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।

পরদিন রায়ের কপি বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলে বিচারকদের সই শেষে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ দুটি মৃত্যু পরোয়ানার কপি (ডেথ ওয়ারেন্ট) লাল সালুতে মুড়িয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে পৌঁছার পর তা দুজনকে পড়ে শোনায় জেল কর্তৃপক্ষ।

৬৬ বছর বয়সী সাকা চৌধুরী কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে এবং ৬৭ বছর বয়সী মুজাহিদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।



মন্তব্য চালু নেই