সাগরতলের ভয়ংকর বিস্ময়কর ১০ প্রানী (দেখে নিন ছবিতে)
সাগরতলে অদ্ভুত আর ভয়ংকর প্রাণীদের সম্ভার আপনাকে বিস্ময়ে অভিভূত করে দেবে। এরা যেমন বিভিন্ন রঙে রঙিন, আবার তেমনি শিকারের পদ্ধতিও ভিন্ন। কেউ কেউ তো আবার বয়সের সাথে সাথে বদলে ফেলতে পারে লিঙ্গটা, কেউ আবার দেখতেও ভয়ানক কদাকার!
১। ড্রাগন ফিশ-
সাধারণত সমুদ্রের ২ কিলোমিটার গভীরে বাস ড্রাগন ফিসের। ডিম ফোটার আগ পর্যন্ত এটি সমূদ্র তলদেশে অবস্থান করে। Bio-luminescence পদ্ধতিতে এটি সমুদ্র তলদেশে আলো তৈরি করে। নীচের চোয়ালের বড় বড় দাঁতগুলো ড্রাগন ফিশ শিকারে ব্যবহার করে থাকে।
২। চুনট হাঙ্গর-
একটি জীবন্ত জীবাশ্ম হিসেবে অভিহিত চুনট হাঙ্গর আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায়। শিকার ধরার সময় এটি শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে এবং সাপের মত গিলে ফেলে।
৩। ভ্যাম্পায়ার স্কুইড-
বড় বড় চোখের এই প্রাণী সমূদ্রের অনেক গভীরে বসবাস করে। নাম ভ্যাম্পায়ার হলেও এটি মোটেও রক্ত পান করে না। সম্ভবত লাল বড় বড় চোখ আর চাদরের মত ছড়ানো শরীরের কারণে তাঁর এই নামকরণ।
৪। বড় লাল জেলিফিশ-
উজ্জ্বল বড় এই জেলিফিশটি ১ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে বড় হতে পারে। নামের সাথে মিলিয়ে প্রাণীটির গায়ের রঙ হালকা লাল রঙ।
৫। সেল্প-
এই ছোট্ট প্রাণীটি সমূদ্র তলদেশের কার্বন খেয়ে জীবন ধারণ করে যা আমাদের পৃথিবীর জন্য খুবই উপকারী।
৬। নীল বৃত্ত আঁকা অক্টোপাস-
এটি সমূদ্রের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীদের একটি। এর বিষ খুবই শক্তিশালী। সারা শরীরে নীল বৃত্ত আঁকা, বিষাক্ত হলে দেখতে কিন্তু চমৎকার।
৭। ভুত হাঙ্গর –
এই প্রাণীটি সম্পর্কে খুব বেশী জানা যায় না। তবে যতবারই এটি দেখা গেছে ভয়ংকর আঁকাবাঁকা দাঁত আর অদ্ভুত শারীরিক গঠনের জন্য সত্যিই যেন ভৌতিক ছায়া ফেলে গেছে জেলেদের মনে।
৮। কফিন মাছ-
কফিন মাছ ছোট্ট একটি গোলাপি রঙ এর মাছ যা বেলুনের মত ফুলে থাকে। এর সারা শরীরে ছোট ছোট কাটা। এরা নিজেদের বেলুনের মত ফুলিয়ে অনেকটা বড় করে ফেলতে পারে।
৯। জোম্বি ক্রিমি-
এই পরজীবী কৃমি তিমি মাছের হাড়ে বাস করে। এদের অন্ত্র, মলদ্বার বা মুখ কিছুই নেই।
১০। ব্লু পেরট ফিশ-
এই সুন্দর সাগর নীল প্রাণীটির খোঁজ মেলে আটলান্টিক মহাসাগরে। এদের খাবার হচ্ছে বালি আর পাথরে জমে থাকা শ্যাওলা। দিনের ৮০ ভাগ সময়ই এরা খাবার খুঁজে ব্যয় করে।
১১। চিরুণী জেলী-
এদের দেখলে মনে হবে ছোট ছোট একদল আলো ভেসে বেড়াচ্ছে। অন্য সামুদ্রিক প্রানীদের মত এরা Bio-luminescence পদ্ধতিতে আলো তৈরি করে না, বরং শরীরের চিরুণীর মত লোম ব্যবহার করে।
মন্তব্য চালু নেই