সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারো পেছালো

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো সময় পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্ধারিত দিনে র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ ইউনুস খান আগামী ৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলেন নতুন তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল অন্তত ৩০ বার পিছিয়ে গেল।

এই মামলার আসামিরা হলেন- রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের মধ্যে তানভীর জামিনে আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি।

ওই হত্যাকান্ডের ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ৫ আসামি- মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। ওইদিনই আরো দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে।

র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির লাশ তোলা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে নিহত সাগর-রুনিকে হত্যার আগে কোনো নেশাজাতীয় খাবার বা পানীয় বা কোনো বিষ খাওয়ানোর আলামত পাওয়া যায়নি।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে মিল খোঁজার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই