সাতক্ষীরায় বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খলিলুর রহমান

‘সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্তে গরু রাখাল মুকুল হত্যার সাথে বিএসএফ জড়িত নয়’

বিজিবির কড়াকড়ির কারণে সাতক্ষীরা সীমান্তে চোরাচালান নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক পাচার বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে । এই ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় জনগন ও সংবাদকর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খলিলুর রহমান।

গত ১১ জুলাই সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্তে মুকুল সরদার নামের একজন গরু রাখাল নিহত হবার বিষয় টেনে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ তাকে হত্যা করেনি। কোনো সামাজিক রাজনৈতিক অথবা শত্রুতাবশতঃ তিনি দেশের অভ্যন্তরে খুন হয়ে থাকতে পারেন।’ মুকুল যদি ভারতের অভ্যন্তরে যেয়ে থাকেন তাহলে সেদেশের রাখালদের সাথে বিরোধের জেরে খুন হলেও হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান। এছাড়া মুকুল হত্যার ঘটনায় গরুর মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। সাম্প্রতিক সময়ে সাতক্ষীরা সীমান্তে আরও কয়েকটি অনাকাংখিত ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘বিজিবির প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে’।

তিনি বলেন অবৈধভাবে ভারতে না গেলে এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। তবে এসবের পিছনে যারা জড়িত রয়েছে বিজিবি তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার দুপুরে বিজিবি সাতক্ষীরার ৩৮ ব্যাটেলিয়ন সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংকালে খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খলিলুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকসি ও উপ-অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল।

ভারতে অবৈধভাবে গরু আনতে যাওয়ার ব্যাপারে হুশিয়ারি উচ্চারন করে সেক্টর কমান্ডার বলেন ‘ বিএসএফ যেমন তাদের ছাড় দেবে না তেমনি বিজিবিও তাদের আইনের আওতায় আনতে প্রস্তুত’। অবৈধভাবে ভারতে যেয়ে কেউ লাশ হয়ে ফিরে আসুক বিজিবি তা চায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।



মন্তব্য চালু নেই