সাতক্ষীরার সড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে যানবাহন

সাতক্ষীরা জেলার প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্ত গুলো পানিতে ভরে যায়। এতে করে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন গুলোকে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

সাতক্ষীরা থেকে যশোর গামী সড়কের ইলিশপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার, খুলনা গামী ১৮ মাইল পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার, কালিগঞ্জ সড়কের ৩৫ কিলোমিটার, আলীপুর থেকে ভোমরা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ও সাতক্ষীরা আশাশুনী উপজেলা ঘোলা ত্রিমোহীনি ঘাট পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটারসহ মোট ১০৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে কাপেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক,বাস,পিকআপ সহ ভারী যানবাহন গুলোকে চলতে মারাতক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

অন্য দিকে ভান,সাইকেল,মটর সাইকেল সহ অন্যান্য হালকা যানবাহন গুলো চলছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। আর মহা সড়কগুলো তে মহা দাপটের সাথে চলাচল করছে হাজার হাজার নছিমন,করিমন,ভটভটি,মটর ভ্যান,ইজি বাইক.থ্রি হুইলার সহ নিশিদ্ধ ঘোষিত বাহন গুলো। এক দিকে ভাঙ্গা রাস্তা অন্য দিকে বেপরোয়া অবৈধ যানবাহন। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে অনেকের অকাল মৃত্যু ঘটছে। অনেককে বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব।

যশোর সাতক্ষীরা সড়কের কদমতলা বাজারে রাস্তায় এমন অবস্থা হয়েছে যে একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। টেক্সটাইল মিল গেট থেকে বিজিবি হেড কোয়টার পর্যন্ত রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এছাড়া গোপিনাথপুর রিশিল্পী অফিস থেকে বিনেরপোতা ধান গভেষণা ইস্টিটিউট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা মারাতক বেহাল। একই সড়কের অগ্রগতি সংস্থার অফিস থেকে পাটকেল ঘাটা হারুনার রদি কলেজের একটু আগ পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা ও একই রকম।

মাঝে মধ্যে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি ট্রাকে করে কিছু লোক এসে সড়কের গর্ত গুলো মেরামত করার চেষ্টা চালায়। তারা অত্যন্ত নিন্ম মানের ইট,পাথর,পিচ দিয়ে রাস্তর গর্ত গুলো বন্ধ করে দেয়। কিন্তুু দু’এক দিনের মধ্যে সে গুলো আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইনঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বারের প্রবল বর্ষণের কারনে সড়ক গুলো এমন অবস্থা। তিনি আরো জানান, পথজ মেরামতের অংশ হিসেবে রাস্তর গর্তগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এটির জন্য কোন টেন্ডার দেওয়া হয় না। সড়ক বিভাগের নিজস্ব লোক দিয়ে কাজ করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে খুব তাড়াতাড়ী বড় ধরনের বাজেট আসতে পারে। তখন সড়ক গুলো স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই