সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিএনপি নেতা নিহত

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক অলিউল্লাহ মোল্লা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত অলি উল্লাহ মোল্লা একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে ও কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

তবে পুলিশ জানিয়েছে,বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। রাতে একদল দুর্বৃত্তের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এই ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, মাদারীপুর জেলাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, প্রতারণা, নাশকতা ও চাঁদাবাজিসহ কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটর সাইকেল, একটি সাটার গান ও বিস্ফোরিত বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক সুধাংশু শেখরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়নের গাংহাটি চোরাখাল কালভার্টের ওপর টহল দিচ্ছিল । এ সময় একদল লোক মোটর সাইকেলে দ্রুতবেগে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দিলেও তারা তা মানেনি। উল্টো তারা পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেলসহ পড়ে যায় । অন্যরা মোটর সাইকেল ঘুরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি জানান গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি গ্রামের নাশকতার বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ মোল্লা হিসাবে শনাক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩ মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। অলিউল্লাহ মোল্লা কাশিমারি গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা ছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।

কামাল হোসেন আরও জানান,বন্দুকযুদ্ধের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটর সাইকেল, একটি সাটার গান ও বিস্ফোরিত বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ মোল্লার চাচা শাহজাহান আলি জানান, অলিউল্লাহ মোল্লা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় শ্রমিক সরদারের কাজ করেন। তিনি শনিবার রাতে একটি পরিবহনে বাড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশ তাকে দেবহাটার পারুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তবে কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মির্জা সালাহউদ্দির আহমেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

নিহত অলিউল্লাহর লাশ শ্যামনগর থানায় রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই