সাত ঘন্টার কম ঘুম বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি!

পৃথিবীর সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, রয়েছে নির্দিষ্ট মাত্রা। এ কথাটি যেমন জীবনের আর দশটা কাজের ক্ষেত্রে সত্যি, তেমনি সত্যি ঘুমানোর ক্ষেত্রেও। দিনে ঠিক কত ঘন্টা ঘুমান আপনি? পাঁচ, ছয়, নাকি আট? এরকম কোন একটাই যদি হয় আপনার ঘুমোবার সময়ের পরিমাণ, তাহলে বলতে হবে পৃথিবীর আরো অনেকের সাথে সাথে আপনিও রয়েছেন ভয়ানক ঝুঁকির মুখে।

সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে বা যারা দিনে সাত ঘন্টার কম বা বেশি ঘুমিয়ে থাকেন তাদের ভেতরে রয়েছে ভয়ানকভাবে হৃযন্ত্রের সমস্যা হবার সম্ভাবনা (এবিসি)। এছাড়াও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিম্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত একটি গবেষনানুসারে পাঁচ ঘন্টার কম যারা ঘুমিয়ে থাকেন তাদের ভেতরে রয়েছে স্ট্রোক, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাকসহ আরো নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার দ্বিগুন ঝুঁকি।

শুধু তাই নয়, গবেষনায় আরো জানা যায় এ সম্ভাবনা বেশি রয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে প্রায় আড়াই গুন বেশি। এ ব্যাপারে যথাযথ তথ্য পেতে গিয়ে ২০০৫ সালে এই গবেষকেরা মোট ৩০,০০০ বয়স্ক মানুষকে পরীক্ষা করেন। লিপিবদ্ধ করেন তাদের বয়স, উচ্চতা, খাদ্যাভ্যাসসহ আরো নানারকম তথ্য। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সবকিছু ঠিক থাকলেও কেবল ঘুমের কারণে শরীরে কোনরকম সমস্যা দেখা যায় কিনা।

ফলাফল ইতিবাচক আসে এবং প্রমাণিত হয় যে কম ঘুম মানুষের দেহের খাদ্য হজম আর অন্যান্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইনসুলিন আর রক্তচাপের ক্ষেত্রে গড়বড় হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের ভেতরে তৈরি হয় নানা সমস্যা।

অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লীপ মেডিসিন অনুসারেও, একজন পুর্ণবয়স্কের উচিত প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা করে ঘুমানো। তবে এক্ষেত্রে যদি কারো কোনভাবেই সাত ঘন্টা করে ঘুম না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে কেবল শুয়ে থাকতে। পরীক্ষায় দেখা যায় যে সাত ঘন্টা না ঘুমোলেও সেই পরিমাণ শুয়ে থাকা মানুষের শরীরে যথেষ্ট পরিবর্তন আনে।

তাই একদম দেরী না করে আজকেই নিজের ঘুমোবার অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন আর ঘড়িকে বলে রাখুন ঠিক সাত ঘন্টা অব্দি আপনাকে ঘুমোতে দিতে। অন্যথায় খুব সহজেই আপনার শরীর হতে পারে কঠিন কোন রোগের মুখোমুখি।

তাহলে এবার বলুন, ঘুমোবেন তো সাত ঘন্টা?



মন্তব্য চালু নেই