সাধারণ দুই কন্যার অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প

মেয়ে দুটো একেবারেই ‘লক্ষ্মীমন্ত’নয়৷ কারও কথা শোনেনি৷ নিজেদের যা মনে চায়, প্রাণে চায় তাই করেছে৷ ফলও হাতেনাতে পেয়েছে৷ যৌবনেই সাফল্যের মাপকাঠিতে উপরের সারিতে জায়গা করে নিয়েছে পল্লবী মোহাদিকর (২৭) ও দিব্যা নাম্বিয়ার (৩০)৷

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কাছে ছোট্ট এক গ্রামে তাঁতির ঘরে বড় হয়েছেন পল্লবী৷ ছোটবেলা থেকেই নেশা ছিল কাপড় বোনার শিল্প দেখার৷ কেমন করে সূতোর জাল বুনে সুতি, তসর, সিল্ক তৈরি করেন শিল্পীরা৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা একমনে দেখতেন৷ আইআইএম থেকে এমবিএ করেছিলেন বটে৷ কিন্তু মন পড়েছিল নকশিকাঁথার দুনিয়াতেই৷ তাই মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন কাপড়ের ব্যবসা৷

মা বলেছিলেন, ‘কাপড়ই যদি বেচবে, এমবিএ করলে কেন?’ এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ‘ইন্দোফ্যাশ’-এর প্রতিষ্ঠা করে৷ যার সৌজন্যে মাত্র চার মাসেই দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় কাপড়ের নাম৷ আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা – সর্বত্র নামডাক রয়েছে তাঁর তাঁত, সিল্ক, তসরের সম্ভারের৷

কেরালার দিব্যা নাম্বিয়ার অনুপ্রেরণা তার বাবাই৷ তার উৎসাহেই ছোটবেলায় আঁকা শুরু করেছিলেন৷ অর্থনীতির স্নাতক হলেও মনে তার হামেশাই ছিল শিল্পের তাগিদ৷ সেই তাগিদেই শুরু করেন জুয়েলারি ডিজাইন৷ ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে সাজিয়ে তোলেন একের পর এক অলঙ্কার৷ প্রথমে দিল্লিতে ব্যবসা শুরু করেছিলেন দিব্যা৷ পরে স্বামী বেঙ্গালুরুতে ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার পর সেখানে শুরু করেন তার ‘ঊন্নিয়ার্চা’৷ এখন দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশেও ছড়িয়েছে তাঁর পসার৷

দিব্যা, পল্লবী – কেউই কাউকে চেনেন না৷ চেনার কথাও নয়৷ কিন্তু, জীবন সফরে দু’জনের চলার পথ এক জায়গাতেই মিলে গিয়েছে৷ চেনা পথের বাইরে হেঁটে সাফল্যের সিড়িতে উপরের সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের এই দুই মহিলা ‘অন্ত্রেপ্রেনিয়র’৷ সংবদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই