সাবধান! এই ৬টি উপায়েই এটিএম থেকে আপনার টাকা হাতাচ্ছে দুষ্কৃতীরা

কিছুদিন আগেই ভারত প্রত্যক্ষ করেছে দেশের এটিএম কার্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যালওয়্যার অ্যাটাক। প্রায় ৩২ লক্ষ এটিএম কার্ডকে ব্লক করে অবস্থা মোটামুটি সামাল দেওয়া গিয়েছিল সেই সময়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন হামলা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে। বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে এটিএম ব্যবহারকারীদেরই। সেক্ষেত্রে জানা প্রয়োজন কোন কোন কৌশলে এটিএম থেকে টাকা হাতায় দুষ্কৃতীরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত ৬টি উপায়ে তারা এটিএম থেকে টাকা লোপাট করে। কৌশলগুলি এরকম—

১. কার্ড স্কিমার: এটি একটি বিশেষ যন্ত্র যা এটিএম-এর কার্ড সোয়াইপ করার জায়গাটিতে লাগানো থাকে। এটির মাধ্যমে এটিএম কার্ডের সমস্ত তথ্য চলে যায় দুষ্কৃতীদের কাছে। তারপরে অনলাইন ট্রানজ্যাকশনের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানো তাদের বাঁ হাতের কাজ।

২. ভুয়ো এটিএম কার্ড স্লট: এটিএম-এ কার্ড সোয়াইপ করতে গিয়ে যদি মনে হয়, কার্ডটি মসৃণভাবে সোয়াইপ করা যাচ্ছে না, আটকে যাচ্ছে কোথাও, তাহলে ভাল করে চেক করুন কার্ড স্লটটি। মূল স্লটের উপরে বা নীচে কোনও ভুয়ো কার্ড স্লট লাগানো নেই তো? সেখানে কার্ড ঢুকলে আপনার কার্ডের তথ্য, কিংবা আস্ত কার্ডটিই চলে যেতে পারে দুষ্কৃতীদের হাতে।

৩. ভুয়ো প্যানেল: অনেক সময় এটিএম-এর টাকা বেরনোর জায়গাটিতে একটি ভুয়ো প্যানেল লাগিয়ে রাখে দুষ্কৃতীরা। আপাতদৃষ্টিতে সেটিকে মেশিনেরই অংশ বলে মনে হয়। মেশিন থেকে টাকা বেরিয়ে জমা হয়ে যায় ওই প্যানেলের ভিতরে। ফলে আপনি আর টাকা পান না। বিষয়টিকে যান্ত্রিক গোলযোগ মনে করে আপনি বেরিয়েও আসেন এটিএম কাউন্টার থেকে। আর তারপরেই কাউন্টারে ঢুকে প্যানেলটি খুলে টাকা হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ফলে এটিএম থেকে টাকা বের করার আগে যাচাই করে নিন, টাকা বেরনোর জায়গাটিতে কোনও আলাদা ধাতব প্যানেল লাগানো রয়েছে কি না।

৪. লুজ কার্ড স্লট: এটিও একটি ভুয়ো কার্ড সোয়াইপিং স্লট, যা মূল মেশিনের উপরে দুষ্কৃতীরা লাগিয়ে রাখে। আপনি এই ধরনের সোয়াইপিং স্লটে কার্ড সোয়াইপ করতে গেলে কার্ডটি ভিতরে আটকে যায়। ফলে কার্ড সোয়াইপ করার আগে সোয়াইপিং স্লটটি নেড়েচেড়ে দেখুন। কোনও কারণে জায়গাটি মেশিনের সঙ্গে আলগাভাবে লেগে রয়েছে মনে হলে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।

৫. ভুয়ো কি প্যাড: এই ধরনের কি প্যাড মেশিনের মূল কি প্যাডের উপরে লাগানো থাকে। আপনি যখন আপনার পিনটি টাইপ করেন, তখন তা রেকর্ড হয়ে যায়, এবং পরে চলে যায় দুষ্কৃতীদের হাতে। কাজেই পিন টাইপ করার আগে দেখুন, কি প্যাডটি শক্তপোক্তভাবে মেশিনের সঙ্গে লেগে রয়েছে কি না।

৬. গোপন ক্যামেরা: বলা বাহুল্য, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বসানো সিসিটিভি এটি নয়। বরং দুষ্কৃতীদের বসানো গোপন ও শক্তিশালী ক্যামেরা, যার মাধ্যমে আপনার কার্ডের নম্বর এবং আপনার টাইপ করা পিন জেনে ফেলা সম্ভব। কাজেই পিন টাইপ করার সময়, চেষ্টা করুন, হাত দিয়ে কি প্যাড আড়াল করে টাইপ করার।



মন্তব্য চালু নেই