সাবধান! ফাটা বাঁশে আটকে যেতে পারেন আপনিও

ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ সুযোগ হলেই আজকাল সবাই ঢু মারেন। অনেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে এক আধটু ফেসবুকে স্টেটাস, সেলফি, আমরা সবাই দিয়ে থাকি।

এছাড়াও অনেকে আছি, সুযোগ পেলেই নানা তথ্য ম্যাসেজ আকারে হোয়াটস অ্যাপে চালাচালি করছি। আসলে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা সবাই সময় কাটাই। আর সেসময় একজন আরেকজনের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ও শেয়ার করি।

কিন্তু কখনো কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, এই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি বা আমি ঠিক কতটা নিরাপদ? না, তা নিয়ে আমরা কখনোই মাথা ঘামাই না। তবে ফাঁদে পড়ার পর আমাদের হুশ আসে। সতর্ক হই অনেক কিছু হারানোর পরে। কিন্তু এর আগে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়।

ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আগে হয় তো আমরা ভেবে থাকি যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা যা করছি, তা শুধু আমরাই দেখতে পাচ্ছি বা জানতে পাচ্ছি। কিন্তু আসলে এমনটা নয়। অন্যরাও জানতে পারছে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা একেবারেই নিরাপদ নই।

ফেসবুকের অন্তর্গত মেসেজিং সাইট হোয়াটস অ্যাপ যারা যারা ব্যবহার করেন, তারা সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য অর্থাৎ তাঁদের আর্থিক অবস্থা, ছবি, ভিডিও, ব্যক্তিগত কথা বার্তা সবই আপলোড করে থাকেন। হ্যাকাররা এই সমস্ত তথ্য কিন্তু অনায়াসে চুরি করতে পারে। এরপরই ঘটতে পারে আনাকাঙ্খিত অনেক ঘটনা।

যেমন, হোয়াটস অ্যাপের QR CODE স্ক্র্যাপিং করে। নিজের ফোনের ফিসিং অ্যাপ বা সাইট থেকে আপনার হোয়াটস অ্যাপের QR CODE স্ক্যান করে। কোন ব্যক্তি আপনার হোয়াটস অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে। তাই এখনই সাবধান হওয়া উচিৎ। যাতে ব্যক্তিগত তথ্য অপরের হাতে যাতে না চলে যায়, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কোনও তথ্য শেয়ার না করাই উচিৎ।



মন্তব্য চালু নেই