সাবধান! যে ৭টি কারণে আপনার গর্ভের শিশুটির ক্ষতি হতে পারে

সন্তান জন্মদান প্রতিটি নারীর জন্য বিশেষ মুহূর্ত। অনাগত সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটি মায়ের থাকে অপ্রাণ চেষ্টা। প্রতিটি মা-ই চান তার সন্তানটি সুস্থ থাকুক। কিন্তু কিছু কাজ আছে যা করে নিজের অজান্তে অনাগত শিশুটির ক্ষতি করে থাকেন মায়েরা। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কাজ খুঁজে বের করেছেন যা অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

১। দূষণ

গবেষণায় দেখা গেছে যেসকল গর্ভবতী মহিলারা দূষণযুক্ত এলাকায় বেশি সময় কাটিয়ে থাকেন, তারা তুলনামূলকভাবে কম ওজনের শিশু জন্ম দিয়ে থাকেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি খান।

২। প্রচুর কফি পান

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফিন আপনার গর্ভপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে থাকে। দিনে দুই কাপের বেশি কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত কফি মায়ের হার্টবিটের হার বৃদ্ধি করে রক্তনালীতে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। যা আপনার শিশুর উপর প্রভাব ফেলে থাকে।

৩। প্রসেসড খাবার

প্রসেসড খাবার বিশেষভাবে মাংস গর্ভবতী মহিলার জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। এতে লিসটিরা নামক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা শিশুর মৃত কারণও হতে পারে। তাই এইসময় প্রসেসড খাবার বিশেষত মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪। ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস সূর্য। তবে অনেকই এই সময় ঘরের বাইরে যেতে চান না। অথচ সূর্যের আলোর ভিটামিন ডি অনেক বেশি প্রয়োজন মা এবং শিশুর জন্য। University of Calgary এক সমীক্ষায় দেখেছেন ভিটামিন ডি এর অভাবে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কম ওজনের শিশু জন্মদান সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

৫। অ্যান্টিডিপ্রেশন ওষুধ

গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী মহিলাদের একটি বড় অংশই অবসাদ বা বিষন্নতায় ভুগে থাকেন। এই বিষণ্ণতা কাটানোর জন্য অনেক সময় তারা অ্যান্টিডিপ্রেশন ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই ওষুধগুলো মেয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভপাত, দেরী ডেলিভারী, জন্মগত ত্রুটিসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে।

৬। পরোক্ষ ধূমপান

ধূমপান সুস্থ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আর তা গর্ভবতী মহিলার জন্য তো আরও বেশি ক্ষতিকর। গর্ভকালীন সময় সেকেন্ড হ্যান্ড ধূমপান বা পাশে থাকা কারো সিগারেট থেকে আসা ধোঁয়াও অনাগত শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এতে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সহ অ্যাজমা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

৭। অতিরিক্ত ওজন

গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত ওজন শিশুর ডায়াবেটিস সহ নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত মোটা মহিলাদের শিশুর অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ব্যায়াম আপনার সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করবে। Dr. Jennifer Wu, an OB-GYN at Lenox Hill Hospital in New York এর মতে সপ্তাহে চারবার ২০ মিনিট করে হাঁটুন। এটি আপনার ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।



মন্তব্য চালু নেই