“সাবধান! সিরিয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ”

ভারতীয় সিরিয়ালে আক্রান্ত গোটা দেশ। নির্বিকারে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানান অপ্রিয় ঘটনা। কিন্তু তবুও নড়ছে না কারও টনক। পারিবারিক চরম অশান্তি, বিচ্ছেদ সহ আত্মহত্যার মত ভয়ংকর ঘটনাও ঘটছে। এভাবে কি একের পর এক চলতেই থাকবে? আমাদের কি কিছুই করার নেই?

তবে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা সময়ে উঠছে প্রতিবাদী ঝড়। কখনো কখনো আবার পড়ে যাচ্ছে হৈ চৈ। তবে এ বিষয়ে বরাবরই সরব প্রতিবাদী তরুণ প্রজন্ম।

ইন্ডিয়ান সিরিয়ালকে এক মহামারি রোগ আখ্যায়িত করে সোমবার এক তরুণ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। আওয়ার নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

“সাবধান!!! সিরিয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ”

রোগের নামঃ ইন্ডিয়ান সিরিয়াল। বাংলাদেশর আনাচে কানাচে সবখানে এই রোগের রোগী দেখা যায়। গ্রামের তুলনায় শহরে এই রোগীর সংখ্যা বেশী। এই রোগের আক্রান্ত রোগীর বেশীর ভাগই মেয়েরা। পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নেই বললেই চলে।

কিছু ভাইরাস আছে এই রোগটাকে খুব শক্তিশালী করে রেখেছে। ভাইরাসগুলোর নাম হচ্ছে : স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস, জি টিভি, সনি টিভি। এই রোগের কারনে সমাজে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যেমনঃ পরকীয়ার পরিমান বেড়ে গেছে, বৌ শ্বাশুড়ির মধ্যে সংঘাত বাড়ছে, বিবাহ বিচ্ছেদ রেড়ে গেছে, স্বামীকে সন্দেহ করার প্রবনতা বেড়ে গেছে, অনেক মেয়ের মধ্যে কুটনামী করার প্রবনতা বেড়েছে।

এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। যদি পরিবারের কোন মেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয় তবে বাকী মেয়েগুলো এই ইন্ডিয়ান সিরিয়াল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

দিন দিন এই রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মেয়েদের এই ইন্ডিয়ান সিরিয়াল রোগের কারনে সব থেকে বেশী বিপাকে পড়েছে পুরুষেরা। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সংসারের কথা চিন্তা করে মেয়েদের এইসব বস্তা পচাঁ সিরিয়াল দেখতে হয়।

এই রোগের ঔষধঃ এই রোগের ঔষধ এখনও আবিস্কৃত হয়নি। তবে সরকার যদি এইসব ভাইরাস চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে এই রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে।



মন্তব্য চালু নেই