সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি : সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমজীবি পোশাক শ্রমিকরা নাড়ীর টানে ছাড়তে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চল। যার ফলে সাভারের ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা এবং টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষসহ বাড়তে শুরু করেছে যানবাহনের চাপ। এই বাড়তি চাপের ফলে সড়কগুলোর কোথায় কোথাও হালকা যানজট সৃষ্টিসহ ধীর গতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে

সোমবার দুপুরের পর থেকে সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাক শ্রমিকরা নাড়ির টানে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এই চাপ বাড়তে শুরু করে।

আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড়, জিরানীসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলোর বাস কাউন্টারে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই আবার বাসের অগ্রিম টিকেট কেটে রাখায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন কাউন্টারগুলোতে। আবার কেউ কেউ টিকিট নামের সোনার হরিণ পেতে এক কাউন্টার থেকে অপর কাউন্টারে ছুটে যাচ্ছেন।

Savar-Ashulia Pic (6)

শুধু নয়, অনেকে আবার বাসের টিকিট ও অথবা সিট না পেয়ে নাড়ীর টানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শত কষ্ট করেও বাসের ছাদে অথবা ট্রাকের উপরে চড়ে রওনা দিচ্ছেন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। টিকিট না পেলেও বাসের অথবা ট্রাকের ছাদে একটু বাসার জায়গা পেলেই মিছে হয়ে যাচ্ছে ঘুরমুখো মানুষগুলোর কষ্টগুলো।

আনন্দ সুপার পরিবহনের ছাদে বসে থাকা সাবিনা আক্তার নামে এক নারী পোশাক শ্রমিক বলেন, জীবিকার তাগিদে তিনি গত ৬ বছর আগে গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি ডিইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি নেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তিনি ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শিল্পাঞ্চল আশিুলিয়া থেকে রংপুরের মিঠাপুকুরে চলে যান।

Savar-Ashulia Pic (2)

তবে বছরে দুই ঈদ ছাড়া তেমন একটা বাড়ি যাওয়া হয়না বলেও জানান তিনি। তাই ঈদের মধ্যে শত কষ্ট হলেও বাড়ি যান তিনিসহ হাজারো সাবিনা!

জাহিদ যুবরাজ নামের অপর এক যুবক জানান, তিনি ও তার স্ত্রী আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা’সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা রয়েছে। তাই ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতে তিনি ও তার স্ত্রী রওনা হয়েছেন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

এদিকে, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের যানজট নামক ভোগান্তীতে থেকে মুক্তি দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা। সেই সাথে সড়ক বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরাও রয়েছে সড়কে।



মন্তব্য চালু নেই