সামাজিক পরিবর্তন ও আমার বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে থাকতে চাই না, আমরা উন্নত অর্থনীতিতে যেতে চাই।’ বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়াও মন্ত্রী-এমপিরাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তন ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন।

অবশ্য বিগত ৪৪ বছরে যে আমাদের রাষ্ট্র-সমাজের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এতে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। অর্থনৈতিকভাবে যে রাষ্ট্র ও সমাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে এতে আমি তাদের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না। তবে এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নই কি সমাজ পরিবর্তনের একমাত্র সূচক? না, সমাজ পরিবর্তনের সাথে আরো অন্যান্য ফ্যাক্টর জড়িত আছে।আর আমাদের সার্বিক সামাজিক যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা কোন দিকে হচ্ছে অগ্রগতি না অবনতি আমি নিজে তা সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছি না। ফলে এসব বিষয়ে আমার কিছু এলোমেলো ভাবনা এখানে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

সমাজবিজ্ঞানীদের তাত্ত্বিক থিওরির কথা বাদ দিলাম। নিবন্ধটি লেখার আগে আমার এক বন্ধুর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সামাজিক পরিবর্তন বলতে তুমি কি বুঝ? আর আমাদের সমাজ পরিবর্তনের ফ্যাক্টরগুলো কি হতে পারে?

আমার সেই বন্ধুটি কোনো দিনই সমাজবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেনি। কিংবা সমাজ নিয়েও কোন গবেষণা করেনি। লেখাপড়া করেছে প্রকৌশলবিদ্যায়। অথচ তিনি চমৎকারভাবে আমাকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করলেন। তাঁর মতে, সমাজ দুইভাবে পরিবর্তন হতে পারে সেটা হলো- উন্নতি অথবা অবনতির মাধ্যমে। সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ আরো অন্যান্য ফ্যাক্টর কাজ করে। তার মতে, অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রগতি হলেও আমাদের সামাজিক পরির্তনটা মূলত: দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এর স্বপক্ষে তিনি সাম্প্রতিক কিছু লোমহর্ষক ও নৈতিক অবক্ষয়ের ঘটনার কথা তুলে ধরেন। তার কথার সূত্র ধরেই আমাদের আজকের সমাজ পরিবর্তনের ধারাটি কোন পথে এগুচ্ছে তা বুঝার চেষ্টা করি।

আমি নিজেও সমাজবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করিনি। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়ন এবং পিএইচডি গবেষণাকালে রিলেটেড সাবজেক্ট হিসেবে দু’একটি কোর্স অধ্যয়নের সুযোগ হয়েছিল। তাতে সমাজ ও সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে কিছু ধারণা পেয়েছিলাম। সমাজবিজ্ঞানের সেসব তত্ত্ব ও তথ্যজ্ঞান বাস্তবে যেন একেবারেই অষাঢ়। ফলে সেগুলো এখানে আলোচনার যেমন কোনো সুযোগ নেই তেমনি আলোচনাও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছি না। তবে দু’একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়।

যেমন- বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী Maciver and Page এর ভাষায়- “Social change refers to a process responsive to many types of changes, to changes in man-made conditions of life” to changes in the attitude and beliefs of men and to changes that go beyond the human control to the biological and physical nature of things.

আর সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় সমাজ বা সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর্সের মধ্যে Physical Environment, Demographic (biological) Factor, Cultural Factor, Ideational Factor, Economic Factor and Political Factors কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

থাক এসব তাত্ত্বিক কথা। এবার আসি- আমাদের সমাজ কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে আমাদের সমাজে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা আমাদের গোটা দেশবাসী তো বটেই বিশ্ববাসীকে নাড়া দিয়েছে। এরমধ্যে-

এক. পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের দিন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে একদল যুবক প্রকাশ্যে আমাদের বেশ কিছুসংখ্যক মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের চেষ্টা করেছে। কারো কারো শাড়ি টেনে ধরেছে, কাউকে উলঙ্গ করার চেষ্টা করেছে, স্বামী-সন্তানের সামনে কারো কারো স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছে, কাউকে জড়িয়ে ধরে কিস করেছে। আবার কারো কারো শাড়ি-উড়না নিয়ে গেছে। এসময় অদূরেই দাড়িয়েঁছিল পুলিশ প্রশাসনের লোকজন। অন্যদিকে ঘটনাটি নীরবে অবলোকন করেছে শত শত লোক। ছাত্র ইউনিয়নের মুষ্টিমেয় কয়জন ছেলে ছাড়া আর কেউ প্রতিবাদে এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারও আমরা সেভাবে দেখতে পায়নি। আমরা ১৯৯৯ সালে ইংরেজি বর্ষবরণে রাত ১২.০১ মিনিটে এক নারীকে বিবস্ত্র করার ঘটনা না ভুলতেই এ রকম আরেকটি ঘটনা দেখতে হলো। ওই সময় সংসদে দাঁড়িয়ে একজন সাংসদ তখন উল্টো ভিকটিম মেয়েটিরই বিচার দাবি করেছিলেন। এরফলে সেই ঘটনার বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দূরের কথা যা হবার তাই হলো।

দুই. নড়াইলের সেনা সদস্য স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কর্তৃক গৃহবধুকে গাছে বেধে নির্যাতন। পরে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের রুল জারি।

তিন. বর্ষবরণে টিএসসিতে নারী লাঞ্ছনার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো পুরুষ পুলিশ সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন কয়েকজন ছাত্রী।

চার. প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রীকে মারধর। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌনহয়রানি।

পাঁচ. সিলেটের শহরতলি কুমারগাঁও এলাকায় চোর সন্দেহে শিশু সামিউল আলম রাজনকে খুটির সাথে বেঁধে কয়েকজনে মিলে পিটিয়ে হত্যা করার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে সরকারি রাস্তায় খেজুরের কাঁটা দিয়ে তৈরি বেড়া ভেঙে ফেলায় দুই শিশুকে দড়ি ও শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন। করা হয়েছে।

এছাড়া র্যাব কর্তৃক নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার, মেয়ে ধর্ষনের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার, বাবা-মার সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ, সন্তানের সামনে মাকে গণধর্ষণ, বখাটেদের হাত থেকে বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের কিংবা মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার প্রাণহানি, ছেলের প্রহারে অপমানের বাবার আত্মহত্যা, ছেলের আঘাতে বৃদ্ধার মৃত্যু, ভাগ্নের স্ত্রীকে নিয়ে মামা উধাও, আপনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় কিংবা মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হত্যা ইত্যাদি আরো নানা ধরনের অসংখ্য ঘটনা আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

জানিনা আমাদের রাষ্ট্র-সমাজের কর্ণধাররা সমাজের এসব ঘটনা এবং সামাজিক এই পরিবর্তনকে কিভাবে দেখবেন? এটাকে তারা বৈপ্লবিক উন্নতি না অবনতি হিসেবে উল্লেখ করবেন? ফলে আমাদের ভাববার সময় এসেছে। অর্থনৈতিক কিছু উন্নতিই কোনো সমাজ পরিবর্তনের মাপকাঠি হতে পারে না। এর সাথে রাজনীতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, নৈতিক-মানবিক মূল্যবোধসহ আরো বেশ কিছু ফ্যাক্টর আছে যা সামাজিক পরিবর্তনের জন্য অপরিহার্য।

উল্লেখিত আলোচনা থেকে এ কথা জোর দিয়েই বলা যা- গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ, ন্যায় বিচার ও সুশাসন ছাড়া কোনোভাবেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে সামাজিক এই অধ:পতন থেকে মুক্তি পেতে হলে সেদিকেই হাঁটতে হবে। বন্ধ করতে রাষ্ট্রীয় অনাচার, বিচারবহির্ভুত হত্যা, বন্ধ করতে হবে অপরাধীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়, অপরাধীদের সুযোগ তৈরিতে সমাজ-রাষ্ট্র কোনো সহায়তা করছে কি না, সেটাও আমলে নিতে হবে। বেরিয়ে আসতে হবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে।
অন্যথা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের আরো অধ:পতন ঘটবে। এতে ভেঙ্গে পড়বে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা। এর সুদূর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমাদের গোটা সমাজ ব্যবস্থার উপর।আর সমাজের অবক্ষয় হলে কেউ রক্ষা পাবে না। কেননা, সমাজ সংস্কার বলতে এমন কার্যক্রমকে বোঝায় যা মানুষের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে। আর সংস্কার- শিক্ষা, নারী উন্নয়ন, সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক শূণ্যতা দূরীকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সাম্য, সমতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয় গুলো সমাজ সংস্কারের উপজীব্য হতে পারে।

সময়ের সাথে মানুষের পরিবর্তন হয়, এই পরিবর্তনের দায় পুরোটাই হয়ত শরীরের ভেতরের সিগনাল গুলোর পরিবর্তনের ফসল। একজন মানুষ পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হলে তার শরীরের ভেতরে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে তার ফল স্বরূপ বাইরের পরিবর্তন চোখে পরে অথচ মানুষের ভেতরের পরিবর্তনের কথা কেউই চিন্তা করে না। একজন মানুষ ট্রেসে থাকলে তার শরীরেও স্ট্রেস হরমোন নিঃসরন হয় ফলে সেই হরমোনের প্রভাবে শরীরে বা আচরণগত ও পরিবর্তন ঘটে। হয়ত এই পরিবর্তনে মানুষটির কোন হাত নেই পরিবেশই এর জন্য দ্বায়ী কিন্তু আমরা পরিবেশের কথা বা মানুষটির অবস্থার কথা চিন্তা করি কদাচিতই।

অন্যান্য প্রাণীর মত মানুষও পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে ফলে তার মনস্তাত্তিক যে পরিবর্তন ঘটে তার প্রভাব আচরণে পরিলক্ষিত হয়। যার ভেতর যে হরমোনের বা সিগন্যাল মলিক্যুলের নিঃসরণ হয় তার আচরণও সেভাবে পরিবর্তিত হয়। এজন্য মানুষের আচরণগত সমস্যার সমাধানে কাউন্সিলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের দেশে স্কুলে কোন বাচ্চার যদি পড়ায় মনোযোগ না দেখে বা মনমরা দেখে তারা সাথে সাথে ব্যাপারটি নিয়ে ডিসকাস করে বাচ্চার কোন সমস্যা হয়েছে কিনা বের করে তার ব্যবস্থাগ্রহণ করে, আবার অনেকের মধ্যে লার্নিং ডিসঅরডার থাকে তার জন্য হয়ত একটু অন্যরকম কেয়ার দরকার হয় যেগুলোর চর্চা আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই বললেই চলে।

সুন্দর সমাজ বিনির্মানের জন্য তাই সমাজের মানুষদের প্রতি আমাদের দর্শনের পরিবর্তন করতে হবে। মানুষের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ হয়ত অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। সমাজে মানুষের মধ্যে হতাশা আসে শ্রদ্ধা থেকে বঞ্চিত হয়ে। আর হতাশা থেকে একটি রোগাগ্রস্থ শ্রেণীর উদ্ভব হয়।

উন্নত বিশ্বে একটি বিষয় খুবই ভালো সেটি হলো এখানে মানুষের পেশা শ্রদ্ধার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। সবাই মানুষ হিসেবে মানুষকে শ্রদ্ধা করে। আবার টাকা পয়সা কার বেশি এগুলোও এখানে ফ্যাক্টর না, এখানে যে যার অবস্থানে থেকে অন্যের শ্রদ্ধা থেকে বঞ্চিত হয় না। ফলে যে যে পেশাতে আনন্দ পায় সে সে পেশাকেই বেছে নেয়। আবার টাকা পয়সার মানুষের শ্রদ্ধার জন্য ফ্যাক্টর না হওয়ায় অবৈধ উপায়ে টাকা আয়ের ধান্ধাও কারো থাকেনা। ফলে সামাজিকভাবে একটি সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করে, এতে এখানে মেধার বিকাশ হয় স্বভাবতই। নোবেল পুরষ্কার বলেন আর আবিষ্কার বলেন উন্নত বিশ্বের মানুষ এগিয়ে থাকার কারণ হলো মনের বিকাশ এবং চিন্তার বিকাশ। ছোট বেলা থেকে এরা ভালোবেসে কাজ করে, আমরা কাজ করি টাকা কামানোর জন্য সেখানে ভালোবাসা থাকেনা ফলে কাজ হয় দায়সারা ভাবে।

সুতরাং পরষ্পর শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে পারলে সমাজে স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করবে। আবার কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে মানসিক সমস্যাগুলোর সমাধানে জোড় দিলে সমাজের তরুণদের মধ্যে যেমন স্বাভাবিক মনের অবস্থা বিকাশ করবে তেমনি মেধার স্বাভাবিক বিকাশ হবে স্বভাবতই।

সবশেষে আমাদের রাষ্ট্র-সমাজের কর্ণধারদের প্রতি আহবান রাখবো- আসুন আমরা সবাই সময় থাকতে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, এসব বিষয়ে সচেতন হই, দলবাজির উর্ধ্বে উঠে সত্যিকার অর্থে সমাজপরিবর্তনে কাজ করি। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করি। অপরাধী অপরাধীই- হোক সে ক্ষমতাসীন দলের কোনো সদস্য, হোক সে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য কিংবা সাধারণ কোন অপরাধী। সেই সাথে দেশবাসীর প্রতি আহবান- আসুন, সময় থাকতে আমরা সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং আমাদের দেশ-জাতি ও সমাজকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করি। সেই সাথে পরষ্পর শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজ বিনির্মাণ করি।

লেখক: গবেষক ও কলামলেখক । ই-মেইল:[email protected]



মন্তব্য চালু নেই