সামাজিক মাধ্যম থেকেই খবর পড়েন পাঠক

গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ব্যবহারকারীরা তাদের বেশির ভাগ সময়ই এখন কাটান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তাই প্রতিদিনের খবর থেকে বিজ্ঞাপন সব কিছুরই কেন্দ্রবিন্দু এখন সামাজিক মাধ্যমগুলো।

রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজমের (আরআইএসজি) এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অনলাইন ব্যবহারকারীরা এখন সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকেই খবর পান। অর্থাৎ সামাজিক মাধ্যমগুলোই এখন পাঠকদের খবরের সূত্র হিসেবে কাজ করছে। এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গবেষণায় বলা হয়, পাঠকদের এই প্রবণতার কারণে ছাপা পত্রিকাগুলো তাদের পাঠক হারাচ্ছে। দৈনিক পত্রিকাগুলো যদি অনলাইন এবং সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় না থাকে তাহলে পাঠকের কাছে খবর পৌঁছানোটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

আরআইএসজির গবেষণা পরিচালক রাসমুস ক্লেস নিয়েলসন বলেন, ‘পাঠকরা এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে খবর পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’

অনলাইন নিউজ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও গবেষণায় বলা হয়। গবেষণা জরিপে অংশ নেওয়া পাঠকদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ জানায়, তারা ফেসবুক থেকেই বিভিন্ন সংবাদ ওয়েবসাইটে যায়, ইউটিউব থেকে যায় ১৯ শতাংশ আর টুইটার থেকে ১০ শতাংশ পাঠক।

নিয়েলসন বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যেখানে সর্বস্তরের পাঠকের কাছে পত্রিকা পৌঁছাতে পারে না তারা খবরের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপরই নির্ভরশীল। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের পাঠকরা মোবাইল ফোনেই বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের খবর পড়ে। আর সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকেই তারা এসব খবর পায়।’

গবেষণা জরিপে অংশ নেওয়া ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানায়, তাদের কাছে খবরের জন্য টেলিভিশনের চেয়েও সামাজিক মাধ্যমগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব পাঠকদের মধ্যে ২৮ শতাংশই সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে খবর পায়। আর ২৪ শতাংশ খবর দেখে টেলিভিশনে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেক মানুষই জানিয়েছে তারা তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইনেই খবর পড়ে। সুইডেন (৬৯ শতাংশ), কোরিয়া (৬৬ শতাংশ) ও সুইজাল্যান্ডে (৬১ শতাংশ) এই হার সবচেয়ে বেশি। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাঠকরাও টেলিভিশন বা ল্যাপটপের চেয়ে তাদের স্মার্টফোনেই খবর বেশি পড়ে বলে জানিয়েছে।

ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২৬টি দেশে এই জরিপ পরিচালনা করে আরআইএসজি।



মন্তব্য চালু নেই