সারাদেশ জুড়ে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

কশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পাশে বোমা হামলায়র পরপরই সারাদেশে বাড়তি নজরদারী শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বিশেষ করে যে সব স্থানে ঈদের জামাত বাকি ছিল ওই সব স্থানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পাশপাশি নিরাপদ দূরত্বে থেকে বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্য পালনের কথা বলা হয়।

শোলাকিয়ায় অবস্থানরত গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমার স্প্রিটারের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনার অবস্থা গুরুতর। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা বোমা নয় দেশীয় হ্যান্ড মেড গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছে। ইতোমধ্যে র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা এলাকার আশপাশ ঘিরে রেখে তল্লাশি শুরু করেছে। সন্ত্রাসীদের ৩ সদস্যকে তারা আটকে সমর্থ হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শোলাকিয়া মাঠের এক কিলোমিটারের মধ্যে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশের গেইটে সকাল সাড়ে ৯ টায় টহল পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলার ঘটনায় শোলাকিয়া ময়দানে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও পরে নির্বিঘেœ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। হামলার পর পুলিশসহ ১৩ জনকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে জহুরুল হক (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শোলাকিয়া মাঠে উপস্থিত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানও এ সময় হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি জানান, হামলাস্থল থেকে চাপাতি ও বোমাসদৃশ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, গুলশান হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামলাকারী কমপক্ষে ৬ থেকে সাত জন হতে পারে। বা তারও বেশি। তারা প্রত্যেকেই বয়সে তরুণ। রয়েছে তাদের কাঁধে ব্যাগ। প্রথম দফা হামলার পর পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে সবাই প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী। তিনি আরো বলেন, এই গ্রুপটি কোনো জঙ্গি গ্রুপের সদস্য হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই