সারা দেশে জ্বালানি তেল পরিবহণ বন্ধ

জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরির চালকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে জ্বালানি তেল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে।

পাঁচ দিন ধরে চলমান এই ধর্মঘট কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী না হওয়ায় জ্বালানি তেল পরিবহণে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তেল পরিবহণের সময় গ্রেফতারকৃত একজন ট্যাংকলরি চালকের মুক্তির দাবি ও পুলিশের মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ট্যাংক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রফিকুল মাওলা জানান, গত ৪ আগস্ট সুপার রিফাইনারি লিমিটেডের নামে অবৈধ কেরোসিন তেল পাচারের অভিযোগ এনে বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ এক ট্যাংকলরি চালককে গ্রেফতার করে।

কিন্তু দেখা যায় সরকারি রাজস্ব বিভাগসহ বৈধ সব ধরনের কাগজপত্র নিয়ে ৯ হাজার লিটার কেরোসিন তেল মিরসরাইয়ের মেসার্স রিদোয়ান ট্রেডার্সে যাচ্ছিল লরিটি। এই সময় অবৈধ তেল পাচারকারী দাবি করে সুপার রিফাইনারির এক কর্মকর্তাসহ চালক জাকির হোসেনকে (৪০) আটক করে পুলিশ।

বৈধ তেল পরিবহণে পুলিশের বাধা ও আটক চালক জাকির হোসেনের মুক্তির দাবিতে ১৪ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের মালিক ও শ্রমিকরা।

তিনি আরো বলেন, ধর্মঘট চলাকালীন সারা দেশে পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহণ ও বিপণন বন্ধ থাকবে। আগামী দুই দিনের মধ্যে চালক জাকিরের মুক্তি না হলে সারা দেশে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে পাঁচ দিন ধরে ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে প্রতিদিন। গুরুত্বপূর্ণ তেল স্থাপনা পদ্মা মেঘনা যমুনাসহ প্রাইভেট সেক্টরের ১৬টি অয়েল রিফাইনারি কোম্পানির তেল পরিবহণও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে এই খাতে শতকোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিষয়ে জানতে পেট্রোবাংলার জেনারেল ম্যানেজার অপারেশন এ কে এম আমির হোসেন জানান, ট্যাংকলরি ধর্মঘটের কারণে সরকারের সারা দেশে জ্বালানি তেল পরিবহণে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সরকারের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই