সারা দেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

রাজধানীর পল্লবী, রাজশাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন।

পল্লবীতে মঙ্গলবার ভোরে এবং রাজশাহীর বাগমারা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সোমবার দিবাগত রাতে বন্দুকযুদ্ধ হয়।

পল্লবী : রাজধানীর পল্লবীতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে পল্লবী থানার কালশী ব্রিজের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। প্রাথমিকভাবে নিহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে নিহত দুজনের আনুমানিক বয়স ৩৫ ও ৫০ বছর।

পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিচিত্রা জানান, সোমবার দিবাগত রাতে কালশী ব্রিজের পাশে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আগে থেকেই সেখানে কয়েকজন সন্ত্রাসী ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় দুজন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। মঙ্গলবার ভোরে কালশী ব্রিজের পাশ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারায় কাদিয়ানি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী জামাল উদ্দিন (২২) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জামাল উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিনগর লক্ষ্মীপুর গ্রামের তাবজুল হকের ছেলে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামালকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবুডাইং এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গোদাগাড়ীর ফরাদপুর এলাকায় গেলে জামালের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি করে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে জামাল নিহত হন।

আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানিয়েছিলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বাগমারার কাদিয়ানি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর নাম তারেক (২০)। তার বাবার নাম আবু সালেক। তারেকের বাড়ি শিবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামে। তারেকের বাবা জামায়াত কর্মী সালেক সাবেক সেনাসদস্য। তারেক আগে ছাত্রশিবির করতেন। পরে জেএমবিতে যোগ দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বন্দুকযুদ্ধে রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাতে নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের তোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

রুবেল ডাকাতসর্দার বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর ও বিজয়নগর থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। রুবেল নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছেলে।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল কাদের জানান, গভীর রাতে একদল ডাকাত সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। ডাকাত দলের সদস্যরা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির মধ্যে ওই ডাকাত আহত হন। পরে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।



মন্তব্য চালু নেই