সালমানের জীবনে সবথেকে বড় ভুল!

তিন বছরের বিবাহিত জীবন। নানা ঘটনা পেরিয়ে অবশেষে আলাদা হয়ে যায় দুজনের চলার পথ। বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে নয় নয়টি বছর। কিন্তু এখনো কোথাও না কোথাও থেকে গেছে না বলা বহু কষ্ট। সম্প্রতি তার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বৈবাহিক জীবনের তেমনই একটি অন্ধকার অভিজ্ঞতার কথা সর্বসমক্ষে বললেন পদ্মা লক্ষ্মী।

‘লভ, লস অ্যান্ড হোয়াট উই এট’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ৪৫ বছর বয়সী পদ্মা লক্ষ্মী জানালেন, বিখ্যাত লেখক ও তার সাবেক স্বামী সালমান রুশদি মনে করতেন, তার জীবনে পদ্মা ছিলেন অন্যরকম। ঘুম ভাঙে অস্বস্তিতে! একটি অকপট সাক্ষাত্‍‌কারে পদ্মা লক্ষ্মী জানান, সালমানকে জানাননি তিনি একটি কথা। ভেবেছিলেন তাতে বিশেষ কোনো ফারাক পড়বে না তাদের সম্পর্কে।

কিন্তু তিনি যখন অসহ্য যন্ত্রণায় শয্যাশায়ী ছিলেন তখন থেকেই শুরু হয় বচসা ও অভিযোগের পালা। সালমানের চাহিদা মেটাতে অপারগ পদ্মার উপরে বেশ বিরক্তই হন সালমান। তার এ অসুখের কথা সালমানকে না জানানোয় অপমানিত বোধও করেন সালমান। তার আচার আচরণে বারবার বুঝিয়ে দেন, পদ্মাকে বিয়ে করা তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল।

তবে বিচ্ছেদের পর সালমানের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে এখন তার। তিনি সাক্ষাত্‍‌কারে বলেন, আজ পর্যন্ত তার জীবনে হওয়া সবথেকে ভালো অভিজ্ঞতা হলো সালমানের সঙ্গে পরিচয় ও পরিণয়। অকপটে তিনি বলেন, সালমান তার কথা দিয়ে পদ্মাকে সিডিউস করেছিলেন।

সালমানের আদব-কায়দা, তার কথাবার্তায় মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বইতে অবশ্য পদ্মা অভিযোগ করেছেন, সালমানের চাহিদা এবং তার শারীরিক অসুস্থার প্রতি কোনোরকম সহানুভূতির না থাকার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে যেতে হয়েছিল তাকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া



মন্তব্য চালু নেই