সিএনজি থামিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদাবাজি

প্রকাশ্যে সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে চালকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এসএম) ছাত্রলীগ নেতারা। তারা চালকের কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবির এসএম হলের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, হলের সামনে দিয়ে একটি সিএনজি যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাইকের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে। বাইকটি ছিল হলের এক ছাত্রলীগ নেতার। এসময় ওই নেতার সঙ্গে থাকা আরো কয়েকজন মিলে সিএনজি থামিয়ে চালককে আটক করে। তারা বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দোহাই দিয়ে চালককে ইচ্ছেমতো গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন রাজু নামের একজন নেতা যিনি হলে অবৈধভাবে থাকেন। তিনি হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগরের ঘনিষ্ট ‘বড় ভাই’। এছাড়াও ওই সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন তানিম নামের একজন নেতা, তিনিও বহিরাগত। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ, সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনুর ঘনিষ্ট বন্ধু এবং তারা একসাথে একই রুমে থাকেন।

আরো ছিলেন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক পিকুল, তাহসান এবং আসিফ, সহসভাপতি সাজু ও হলের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুকসহ প্রায় ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। এরমধ্যে পিকুল ও তাহসান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম এর অনুসারী। অন্যদিকে সাজু হল শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান এর অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের হল শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে তাদেরকে কোনোভাবেই ছাড়া যায় না।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ‘ঘটনাটা আমি শুনেছি। আমরা এ বিষয়ে কালকে (রোববার) বসবো। যদি তারা সাংগঠনিক কেউ হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই