সিজার হত্যা: মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনকে ধরার চেষ্টা চলছে

ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাকাণ্ডে যে মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা উদ্ধার করা গেলেই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ওই মোটর সাইকেলে থাকা তিনজনকে ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, তাভেল্লা সিজার হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলেই আসল এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেও জড়িত ছিল কি না তা জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, হতাকাণ্ডের জায়গায় যে সিসি ক্যামেরা ছিল তাতে তাদের (খুনিদের) ফুটেজ উঠেছে। তারা একটি মোটর সাইকেল করে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার দৃশ্য দেখে তাদের পালিয়ে যাওয়া আমরা শনাক্ত করছি। ফুটেজ অনেক হওয়ার কারণে একটু সময় লাগবে।

ডিবির কমিশনার মনিরুল বলেন, তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই। কারণ, জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের হত্যার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খিজির খানের হত্যাকারী সুইসাইড স্কোয়াডের তারেক

আটক সন্দেহভাজনপিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। এরা পীর দরবেশ ও ফকিরকে টার্গেট করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবির কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, খিজির খান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। যারা খিজির খানকে হত্যা করেছে তারা এসব কাজ গত দুই বছর থেকে করে আসছিল। তবে তাদের খুনের টার্গেট হল পীর, দরবেশ ও ফকির। তাদের টার্গেট করেই তারা খুন করে। তারা খুনের কাজে কখনও অগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। কারণ তারা মনে করে জবাই করে খুন করলে বেশি সোয়াব হবে।

ডিবির কমিশনার বলেন, খিজির খানকে মতাদর্শগত কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, খিজির খান হত্যার অন্যতম খুনি তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক। তবে জঙ্গিদের কাছে সে মিঠু নামেই পরিচিত। মিঠু ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলায় চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়ে ৫ বছর কারাভোগ করে। পরে কারাভোগের পরে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এছাড়াও এই মিঠু ছিলেন জঙ্গিদের সুইসাইড স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য।

অপরদিকে খিজির খান হতার আরেক আসামি আলেক বেপারী। তিনি জঙ্গির সঙ্গে পদ নিয়ে না থাকলেও তাদেরই সদস্য। তিনি মূলত একজন ড্রাইভার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিবির উত্তরের ডিসি শেখ নাজমুল আলম, ডিবির পূর্বের মাহবুল আলম, দক্ষিণের ডিসি খালিদ মাসরুর ও পশ্চিমের সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

‘তাবেলা হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’



মন্তব্য চালু নেই