সিটি মেয়র হয়ে আয় কমেছে, সঞ্চয় বেড়েছে আইভীর!

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী তাঁর হলফনামা জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।

হলফনামায় দেখা যায়, পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আইভী সম্মানি বা বেতন-ভাতা হিসেবে যত টাকা আয় করতেন, সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। সেবছর ১০ অক্টোবর জমা দিয়েছিলেন। সেই নথিতে পৌর মেয়র হিসেবে সম্মানি বা ভাতা ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছেন আইভী। এতে সিটি মেয়র হিসেবে বাৎসরিক সম্মানি ও বেতনভাতা ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ বেতনভাতা কমে গেছে পাঁচ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

গেল বার ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা বলে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছিল। এবার জমা করা অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগেরবার নগদ টাকা না থাকার কথা বলা হলেও এবার তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি পারিবারিকভাবে ১৭ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন বলে এবারের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন আইভী।

২০১১ সালের দেওয়া হলফনামায় ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ‘নাই’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার এগুলো যথাক্রমে দুই লাখ ও এক লাখ ৯২ হাজার ৭৭৯ টাকার বলে জানানো হয়েছে।

২০১১ সালে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এমবিবিএস। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আইভী এবার সেটা দেখিয়েছেন ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি)। বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কোনোবারই ছিল না। কোনো কোম্পানি শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা আমানত নেই বলে উল্লেখ করা হয়ছে।

দুই নির্বাচনী হলফনামায় কৃষিজমি নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে অকৃষিজমি যৌথ মালিকানায় ১১২ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বিএনপির পক্ষে মেয়র পদে লড়বেন আলোচিত সাত খুন মামলার আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান।

1480598528-untitled-1

1480597836-untitled-2



মন্তব্য চালু নেই