সিনেমার মঙ্গলগ্রহ এবার বাস্তবে

সর্বাধিক বিক্রিত জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দ্য মার্শিয়ান’ অবলম্বনে চিত্রায়িত হলিউড সায়েন্স ফিকশন মুভি ‘দ্য মার্শিয়ান’ বা মঙ্গলের অধিবাসী। এই সাই-ফাই মুভিতে মঙ্গল পৃষ্ঠের রিয়াল রিজিওনকে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মহাকাশ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান নাসা দাবি করেছে, মঙ্গলের বুকের এই রিয়াল রিজিওনের অসাধারণ ছবিগুলোকে ক্যামেরা বন্দী করেছে মঙ্গলকেপরিক্রমণকারী মার্স র‌্যাকনেইসঁস অরবিটার।

আর মার্শিয়ান উপন্যাসে মঙ্গলের বুকে অবতরণের জন্য সেই জায়গাটিকেই নির্বাচন করা হয় যার নাম এরিস-৩ ও এরিস-৪।

নাসা আরও বলেছে, মঙ্গলের সমতল বুকের এই অবতরণস্থল এরিস-৩’র ঘাটির নাম হচ্ছে অ্যাসিডালিয়া প্লানিশিয়া। আর এরিস-৪’র ঘাটির নাম স্কিয়াপারেল্লি যা একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভেতরে অবস্থিত।

মঙ্গলকে পরিক্রমণকারী মার্স র‌্যাকনেইসঁস অরবিটারের অন বোর্ড ক্যামেরা হাইরাইজ-এ ধারণকৃত মঙ্গলের বুকে অবতরণের এই দুটি জায়গাসহ আরও বেশ কিছু জায়গার অনন্য ছবিগুলো নাসা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে । আর এই ছবিগুলোকে কেন্দ্র করেই চিত্রায়িত হয়েছে হলিউড সাই-ফাই মুভি ‘দ্য মার্শিয়ান।’

এই হাইরাইজ ক্যামেরা মঙ্গলের বুকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা চালিয়েছিলো। বেশ কয়েক বর্গমাইল এলাকা জুড়ে ছিলো প্রতিটি পরীক্ষার বিস্তৃতি।

২০০৬ সালে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছানো এই অরবিটার আজ অবদি ৩৯ হাজারেরও বেশি ছবি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই ছবিগুলো অনলাইনে সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে নাসা।

সাই ফাই মুভি দ্য মার্শিয়ান এর রোমাঞ্চিত মহাকাশচারী মঙ্গলের বুকে এক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে পৌঁছেছিলেন। এর নাম “মোয়ার্থ ক্রেইটার।” নাসার র‌্যাকনেইসঁস অরবিটারের অনবোর্ড ক্যামেরা হাইরাইজ-এ ধারণকৃত ছবিতে সেই জায়গার ভুপ্রকৃতিকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।



মন্তব্য চালু নেই