সিম নিবন্ধনে আদেশ নয়, মানতে চাই আইন

হাইকোর্ট ১২ এপ্রিল সিম নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর বহুল আলোচিত সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কাজ পূর্ণগতিতে চলছে। হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর হলেও রায়টি এখনো প্রকাশিত হয়নি বলে আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। আদালতের রায় মানার বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। অবশ্য, আপিল হলে ভিন্নকথা—যেমনটির ইঙ্গিত দিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবীদের কেউ কেউ। তবে, আবারও এ বিষয়ে আলোচনার অবতারণার কারণ হচ্ছে (যাকে অনেকটা একাডেমিক চর্চাও বলা যেতে পারে) আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিটা জানা প্রয়োজন।
আমরা জানি, দেশে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের একটি জাতীয় ভান্ডার আছে, যেটি গড়ে তোলা হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায়। তাতে সবার আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন পরে সংশোধনও হয়েছে। আবার নতুন যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু হয়েছে, সেখানেও বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে পাসপোর্ট আইনে। কিন্তু, মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য সিম রেজিস্ট্রেশনে কোন আইনের আওতায় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে? এসব তথ্যের রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জবাবদিহি কোন আইনে নিয়ন্ত্রিত হবে? শুধু এক প্রশাসনিক আদেশে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া কতটুকু যৌক্তিক? আদালতের রায়ে যাঁরা উচ্ছ্বসিত, তাঁরা কি ভেবে দেখেছেন যে হঠাৎ কোনো কারণে যদি কোনো এক সকালে একটি প্রশাসনিক আদেশ জারি হয় যে জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টেলিকম ব্যবসা বেসরকারি খাতে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হবে, তাহলে তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী হবে?
‘সিম রেজিস্ট্রেশনের যদি এবং কিন্তু’ শিরোনামে(প্রথম আলো, ২ এপ্রিল, ২০১৬) আমি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষায় টেলিফোন সেবার তদারককারী ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কথা বলেছিলাম। ওই নিবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় শতাধিক পাঠক যেসব মন্তব্য করেছেন, সেগুলোরও একটা বড় অংশ কী ধরনের হয়রানির শিকার হন, সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তবে, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)-এর মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর ‘সিম নিবন্ধনের যেহেতু এবং সুতরাং’ শিরোনামে এক নিবন্ধে(প্রথম আলো, ২০ এপ্রিল, ২০১৬) বলেছেন যে বায়োমেট্রিকের ব্যবহার বিশ্বজুড়েই বাড়ছে এবং ব্যাংকিংয়ের জন্য প্রায় ৪৫ কোটি লোক এখন এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। অবশ্য তাঁর লেখায় কোন কোন দেশ মোবাইল সেবার জন্য বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করেছে, তার কোনো তথ্য নেই। নুরুল কবীর যে প্রতিষ্ঠানের তথ্য উদ্ধৃত করেছেন, তাদের বায়োমেট্রিক আপডেট ওয়েবসাইট সূত্রেই জানা যায় যে ওই দেশগুলো হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেগুলোর প্রথম দুটো ব্যর্থ বা ভঙ্গুর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত এবং পরের দুটো স্বৈরতান্ত্রিক রাজতন্ত্র। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কার্যকারিতা আন্তর্জাতিকভাবে এখনো স্বীকৃত নয়।

আগেই বলেছি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের প্রয়োজন নেই এমন বিতর্ক এখন অপ্রয়োজনীয়। কেননা, ভোটার তালিকা শুদ্ধীকরণের প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র চালুর সময় থেকেই নাগরিকদের একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এরপর তাতে যুক্ত হয়েছে আঙুলের ছাপ এবং পাসপোর্ট সূত্রে চোখের কনীনিকার (আইরিস) রেকর্ডসমূহ। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ অনুসারে এই তথ্যভান্ডার পরিচালনা ও তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নির্বাচন কমিশনের। ওই আইনে অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইয়ের বিধান রাখা হয়নি। অতএব, আইনের বাইরে কোনো রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বা তথ্য সংগ্রহ স্বেচ্ছামূলক না হয়ে বাধ্যতামূলক হতে পারে কি না, প্রশ্ন হচ্ছে সেটাই।

জাতীয় পরিচয়পত্র চালুর কাজটি মূলত হয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পরামর্শে এবং তত্ত্বাবধানে। আর, তার ডিজিটাল উত্তরণ বা বায়োমেট্রিক রূপান্তরের পেছনে আছে বিশ্বব্যাংক। সেই বিশ্বব্যাংক প্রকল্পটিতে সাড়ে উনিশ কোটি ডলার অর্থায়নের উদ্দেশ্যেযে সমীক্ষা বা সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন (প্রজেক্ট অ্যাপ্রাইজাল ডকুমেন্ট) তৈরি করেছিল, ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিলেরসেই নথিতে দেখা যায় যে মোবাইল সিমের রেজিস্ট্রেশন এবং ব্যাংকগুলোর গ্রাহক যাচাইয়ের মতো কাজে এই বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের ব্যবহার সম্ভাব্যতার কথা বলা আছে।

বিশ্বব্যাংক তার ওই দলিলে এই প্রকল্পে বেশ কয়েকটি ঝুঁকির কথাও বলেছিল। আর সেসব ঝুঁকির মধ্যে বিশ্বব্যাংক যথার্থই গুরুত্ব দিয়ে বলেছিল এই জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যে প্রতিষ্ঠানটির, সেই নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য, পেশাদারি ও অঙ্গীকারের বিষয়গুলোর ওপর এর সাফল্য অনেকটাই নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাংক যখন দলিলটি তৈরি করে তখন কমিশনের দায়িত্বে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মনোনীত কমিশন। তাই বিশ্বব্যাংক কমিশনে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবস্থাপনায় তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি দেখেছিল। গত কয়েক বছরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা এবং বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের পক্ষপাতমূলক অবস্থান অথবা পক্ষপাতমুক্ত করার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তায় কমিশনের প্রতি জন–আস্থার বিন্দুমাত্র যে আর অবশিষ্ট নেই, সে কথা নতুন করে নাহয় আর নাই বললাম। এই কমিশনের তদারকিতে আমাদের বায়োমেট্রিক তথ্য নিরাপদ থাকবে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো কারণ আছে কি?

বিশ্বব্যাংকের দলিলে বলা হয়েছিল যে কমিশনের অধীনে ন্যাশনাল আইডেনটিটি উইং বা এনআইডিডব্লিউ প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় আইন তৈরির মাধ্যমে ঝুঁকি কিছুটা কমানো সম্ভব হতে পারে। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয়পত্র আইন যে এসব প্রয়োজন মেটাতে অক্ষম বা যথেষ্ট নয়, সেই মূল্যায়ন থেকেই পরের বছর বিশ্বব্যাংক তার দলিলে নতুন বিধিবিধান তৈরির কথা বলেছে। সে ধরনের কোনো আইনের কথা কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।

বেসরকারি টেলিফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা গ্রহণের জন্য বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশন কোন আইনে নিয়ন্ত্রিত হবে? সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে টেলিকম কোম্পানিগুলো টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গ করলে তাদের ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। টেলিকম কোম্পানি কি টেলিযোগাযোগ আইনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করছে? তা না হলে টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের প্রশ্ন আসছে কীভাবে?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডার হচ্ছে ভারতের, যেখানে ১০০ কোটির বেশি নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত আছে। গত ১৬ মার্চ দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি এবং বিভিন্ন নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ওই বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডার বিষয়ে একটি আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। আধার আইন নামের ওই বিলটি আইনে রূপান্তরের পরও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ হাল ছাড়েনি এবং সেখানকার হাইকোর্টে রিট করেছেন। ভারতে সরকারের নানা ধরনের ভর্তুকি এবং ভাতা প্রদানের জন্য কংগ্রেস আমলে চালু হয়েছিল জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ব্যবস্থা। দ্য ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) নামের একটি কর্তৃপক্ষ এসব পরিচয়পত্র ইস্যু করা এবং সেগুলোর তথ্যভান্ডার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

গত মাসে যে আধার বিল সংসদে গৃহীত হয়েছে, তার ফলে এখন দেশটির বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ওই তথ্যভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেল। সেখানকার বিরোধী দলগুলো এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর আপত্তি সেখানেই। তাঁদের আশঙ্কা যে সরকার ভিন্নমত দমনে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করবে এবং ওই তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হবে। এই আশঙ্কার জবাবে অবশ্য দেশটির তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেছেন যে আইনে এর প্রতিকার রাখা হয়েছে। আধার আইনের ২৯ ধারায় কোনো ব্যক্তির কোর বায়োমেট্রিকস অর্থাৎ আঙুলের ছাপ এবং চোখের কনীনিকা কারও সঙ্গেই কোনো কারণে প্রকাশ (শেয়ার) করা যাবে না (ওভার ওয়ান হান্ড্রেড ক্রোর পিপল হ্যাভ আধার নাম্বার: গভর্নমেন্ট, দ্য হিন্দু, ৫ এপ্রিল, ২০১৬)। ভারত কেন মোবাইল ফোনের জন্য বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবেনি আমাদের নীতিনির্ধারকেরা কি একটু ভেবে দেখবেন?

ভারত কেন মোবাইল ফোনের জন্য বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবেনি আমাদের নীতিনির্ধারকেরা কি একটু ভেবে দেখবেন?

ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝার জন্য দু-একটি উদাহরণ টানা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। অভিজ্ঞতা বলে যে সাংবাদিকের টেলিফোন বইটি যত মোটা, সাংবাদিকতা পেশায় তাঁর গুরুত্ব তত বেশি। কেননা, প্রয়োজনের সময় তিনি সবচেয়ে বেশি লোকের কাছ থেকে সবচেয়ে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা যে ফেসবুক বা গুগল ব্যবহার করি, তাতে ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ বা গুগলের ল্যারি পেজের লাভ কী? তাঁদের লাভ হচ্ছে আমরা যতবার তাঁদের পোর্টালের সেবা গ্রহণ করি, ততবার তাঁরা (ব্যক্তি নন, তাঁদের পোর্টাল) আমাদের সম্পর্কে বেশি বেশি তথ্য জানতে পারে। গুগলে আপনি কী খুঁজছেন বা ফেসবুকে বন্ধুদের কোন কোন স্ট্যাটাসে আপনি লাইক দিচ্ছেন, তা থেকে তারা বুঝতে পারে আপনার রুচি, সংস্কৃতি, অভ্যাস ইত্যাদির কথা। ফলে, আপনি যখন আবার লগ-ইন করেন, তখন আপনার কাছে আপনার পছন্দের সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন তারা তুলে ধরে। আপনার-আমার রুচি-অভ্যাস বা পছন্দের তথ্য কাজে লাগিয়েই বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে তারা টাকা আয় করে। বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এখন সবচেয়ে বড় কাঙ্ক্ষিত বস্তু হচ্ছে তাদের সম্ভাব্য ক্রেতার তথ্য।

এর বাইরেও ঝুঁকি রয়েছে। আপনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, এই তথ্য একজন দাগি যৌন অপরাধীর হাতে পড়লে তার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সে কথা কি ব্যাখ্যা করার কোনো প্রয়োজন পড়ে? অথচ এখন থানায় থানায় পুলিশকেও সেই তথ্য দিতে হচ্ছে? পুলিশ যেহেতু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে, সেহেতু আমাদের তাতে উদ্বিগ্ন না হওয়ারই কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের ভয়াবহ অপরাধগুলোর বিবরণ পড়ে দেখুন, এর অনেকগুলোতেই জড়িত হচ্ছেন পুলিশের কথিত সোর্স অথবা পুলিশের সাবেক সদস্য। এসব ব্যক্তির নাগাল থেকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য কতটা নিরাপদ? সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি মোবাইল কোম্পানির পাঁচজন কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিম ক্লোন করে অন্যের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য (বিডি নিউজ ২৪, ২০ এপ্রিল, ২০১৬)। এ ধরনের অসাধু চক্রের ক্লোনিংয়ে নিরীহ গ্রাহক ঝামেলায় পড়লে তার প্রতিকার কী? রক্ষকের ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার কাহিনিগুলো যে আমাদের উদ্বিগ্ন করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।

কামাল আহমেদ
সাংবাদিক



মন্তব্য চালু নেই