সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা খুনের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা সেলিম রেজা সুজন (৩৫) খুনের আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ও গভীররাতে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ। এর আগে নিহতের স্ত্রী তিথি ও তার ভাই পিয়াসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার দরগা পাড়ার বেল্লাল হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০) ও তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা শাহজাদপুর পৌর মেয়র এবং বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের ছেলে রাশেদ (৩২)।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাশেদ নিহত সুজনের চাচাতো বোনের স্বামী এবং দু’জনেই সুজনের স্ত্রী উম্মে সালমা তিথির পরকীয়া প্রেমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুন) বিকেলে জেল গেটে মামলার প্রধান আসামি সুজনের স্ত্রী তিথির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে সন্ধ্যায় মনিরুলকে ও মনিরুলের দেওয়া তথ্য মতে রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলীপাড়া থেকে রাশেদকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (৭ জুন) সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, সুজনের স্ত্রী উম্মে সালমা তিথি ঘটনার দিন গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে পরকীয়া প্রেমিক মনিরুল ইসলাম তার স্বামী সুজনকে খুন করেছে বলে তথ্য দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দু’জনই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আবেদন করে রোববার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

১ জুন (সোমবার) সন্ধ্যায় নিজের শোবার ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করা হয় শহরের মিরপুর উত্তর হাজীপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে ও শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা সুজনকে।

ঘটনার পরই পুলিশ তার স্ত্রী তিথি ও শ্যালক পিয়াসকে আটক করে। এ ঘটনায় সুজনের মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে তিথি ও পিয়াসের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েক আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়া তিথি ও তার ছোট ভাই পিয়াস জেলহাজতে রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই