সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করে দেবে ইজরায়েল!

কবে থামবে সিরিয়ার যুদ্ধ? উত্তরটা এখনও সবার অজানা। কারণ প্রতিদিনই সেখানে গুলির লড়াই থেকে বোমাবর্ষণ অব্যাহত। এর মধ্যেই নতুন সংযোজন ইজরায়েলের হুমকি। রবিবার ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে ধেযে আসে একাধিক ভূমি থেকে আকাশে আঘাতকারী ক্ষেপণাস্ত্র।

তারই প্রতিবাদে সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিয়েবারম্যান সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইজরায়েলি পাবলিক রেডিওকে তিনি বলেন, ‘আর একবারও যদি ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে সিরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, তাহলে বিনা বাক্যব্যয়ে তাদের সমস্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’

গত শুক্রবারও একাধিক জায়গায় বোমাবর্ষণ করেছিল ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানাহু জানান, ইজরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলির গোলাবর্ষণে লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গি সংগঠনের জন্য নিয়ে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস হয়েছে। যদিও সিরিয়ার দাবি, ওই যুদ্ধবিমানগুলি

কয়েকদিন আগেই জিহাদিদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পালমেইরাতে হামলা চালিয়েছে। সেজন্যই তাদের উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এমনকী সিরিয়ান সেনা আরও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি ইজরায়েলি বিমানকে তারা মাটিতে নামাতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি আরও একটিকে আঘাত করা সম্ভব হয়েছে। তবে সিরিয়ান সেনার এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ইজরায়েল। তাদের সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলেও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উল্টো, ইজরায়েলের অ্যারো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।

এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে ইজরায়েলের বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু যতবার সিরিয়া থেকে লেবাননে অস্ত্র পাঠানো হবে, ততবার ইজরায়েল সেটা আটকানোর চেষ্টা করবে। দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। এব্যাপারে কোনও সমঝোতা নয়। সিরিয়াকে বুঝতে হবে হিজবুল্লাহ জঙ্গিসংগঠনের হাতে অস্ত্র যাওয়ার জন্য তাঁরাই কিন্তু দায়ী থাকবে। এরপরেও যদি অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করা হয়, তাহলে ইজরায়েল যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’

বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ বাহিনী সিরিয়ায় ধীরে ধীরে নিজেদের ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে। পিছন থেকে তাদের সাহায্য করছে রাশিয়াও। লিয়েবারম্যান জানান, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে চায় না ইজরায়েল। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনও পদক্ষেপ করবে তাঁরা।

গত শতাব্দী থেকেই সিরিয়া এবং ইজরায়েলের মধ্যে সমস্যা চলছে। বেশ কয়েকবার দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধও লেগেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সম্পর্কে শীতলতা থাকলেও ঝামেলা বাঁধেনি। কিন্তু ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর থেকেই ফের একবার উত্তপ্ত হতে শুরু করে দু’দেশের সম্পর্ক। এর আগেও একাধিকবার সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান। কিন্তু তাদের ওপর হামলা না হওয়ায় বারবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইজরায়েল।



মন্তব্য চালু নেই