সিরিয়ায় আইএস’র চেয়েও বেশি শক্তিশালী নুসরা ফ্রন্ট
সিরিয়ায় যুদ্ধরত বিদ্রোহী দল আল নুসরা ফ্রন্ট দিন দিন আইএস থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আইএস ইরাক ও সিরিয়ার অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। এদিকে নুসরা ফ্রন্টও বেশ কার্যকরভাবেই ইরান থেকে বাশারের পক্ষে যুদ্ধ করতে আসা রেভ্যুলেশনারি গার্ডসহ বাশার বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে নিজেদের জানান দিচ্ছে।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বছর দু’য়েক আগে গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চল আইএস ও নুসরা ভাগাভাগি করে দখলে রেখেছিল। তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগের আরেকটি মাধ্যম আলেপ্পোর গুরুত্বপূর্ণ কাস্তেলো রোডকে সরকারি বাহিনী বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি বাহিনীর মেজর জেনারেল সুহেইল আল-হাসান সাময়িকভাবে বিদ্রোহী দলকে অবরোধ করে রাখলেও তাকে এর চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নুসরা ফ্রন্ট ও আইএস কাবু করে ফেলেছে আসাদ বাহিনীকে।
তবে উত্তর সিরিয়ার অন্যান্য শহরে নুসরা বাসার বাহিনী ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া আলেপ্পোর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল থেকে ইরানে রেভ্যুলেশনারি গার্ডকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে তারা।
৫ বছর ধরে চলা সম্মুখযুদ্ধে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধুমাত্র আলেপ্পোর খান তুমান, ইয়িস এবং আল-হায়দার গ্রামের যুদ্ধেই বাশার বাহিনীর শতাধিক আর্মি ক্যাডেট নিহত হয়।
এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ সরকারি বাহিনীর কমান্ডাররা ইন্ডিপেন্ডেন্টকে জানিয়েছে, নুসরা ফ্রন্ট সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। আইএস হচ্ছে ‘টেলিভিশন সন্ত্রাসী’। আইএসের ভিডিও সরকারি বাহিনীর চেয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে নাড়া দেয় বেশি। যদিও বাশার বাহিনীর অনেকেই আইএসের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। তবুও নুসরাকে বিবেচনা করা হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড শক্তিশালী দল হিসেবে।
অপরদিকে আলেপ্পোর দক্ষিণ-পূর্বে তাবকা বিমান ঘাঁটি ফের ফিরে পেতে আসাদ সরকারের জেনারেল মোহাম্মদ দিবের সেনারা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, সেই অঞ্চলে সম্মুখযুদ্ধের মাধ্যমে আইএসের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তিন দিক থেকে আইএস আক্রমণ করলেও সেনাবাহিনী তাদের আটকাতে সক্ষম হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে আইএস তাবকা বিমানঘাঁটি দখল করে ১৬০ জন সিরিয়ার বাহিনীকে হত্যা করে।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রাশিয়ার বিমান হামলার জোরে একটু আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নুসরা ফ্রন্টের মিসাইল হামলায় একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত হয়।
তবে এ পর্যন্ত কোনো পক্ষেরই যুদ্ধ বন্ধ বা আত্মসমর্পণ করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
মন্তব্য চালু নেই