সিরিয়ায় বিমান হামলা জোরদার করবে রাশিয়া

সিরিয়ায় বিমান হামলা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া ওই হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সামর্থ্য ‍দুর্বল হয়েছে বলেও দাবি করেছে মস্কো। যদিও পশ্চিমা শক্তিগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট বশির আল আসাদকে ক্ষমতায় ধরে রাখতেই তার বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।

শনিবার উর্ধ্বতন এক রুশ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছে, সিরিয়ায় গত ৭২ ঘণ্টায় ৬০টির বেশি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। জেনারেল স্টাফ অন্দ্রে কার্টাপোলভ আরো বলেছেন,‘আমরা সিরিয়ায় কেবল বিমান হামলা অব্যাহত রাখবো না-এর তীব্রতাও বৃদ্ধি করব।’

সিরিয়ায় রুশ হামলার তীব্র বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলো যারা সিরিয়ায় গত চার বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গতবছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রুশ হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, সিরিয়ায় রুশ হামলা আইএসের হাতকে আরো শক্তিশালী করবে। তিনি সিরীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রুশ হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই হামলা মস্কোকে ‘গভীর সঙ্কটে’ নিমজ্জিত করবে।

এদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, সিরিয়ায় রাশিয়া যে ২০টি বিমান হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে মাত্র একটি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল। ইরাক ও সিরিয়ার একটি বড় অংশই নিয়ন্ত্রণ করছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

তবে তাদের এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রুশ কর্মকর্তা কার্টাপোলভ বলেছেন, গত তিন দিন ধরে তারা সিরিয়ার হেমমিমি বিমান ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তারা গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাক্কায় আইএসের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র গুদাম এবং মারাত আল নুমান এলাকার অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় জঙ্গিরা সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছে মস্কো।

তবে অবজারভেটরি বলছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের অন্তর্গত মারাত আল নুমান এলাকায় ইসলামিক স্টেটের কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই। এই এলাকাটি আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী নুসরাত ফ্রন্ট এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে যেসব বিদ্রোহী গোষ্ঠী লড়াই করে যাচ্ছে তাদের অন্যতম এই নুসরা ফ্রন্ট।



মন্তব্য চালু নেই