`সিরিয়া সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ব্যর্থ`

সিরিয়ার সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সংস্থার মহাসচিব বান কি মুন। তবে এ ব্যর্থতার পেছনে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর মতো বিভাজনকে দায়ী করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। মঙ্গলবার গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ দাবিতে বিদ্রোহীরা বিক্ষোভ শুরু করে। বিদ্রোহীদের দমন করতে গিয়ে আসাদ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। সেই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থি সংগঠন ইসলামিক স্টেট সিরিয়ার একটি বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে। সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় দেশ ছেড়ে ইউরোপ পাড়ি জমাচ্ছে। এসব শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপ। আসাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করলেও চীন ও রাশিয়া বরাবর এর বিরোধিতা করে আসছে। প্রসঙ্গত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, রাশিয়া ও চীনের উচিত তাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে ফিরে তাকানো । যেহেতু ইউরোপে শরণার্থীদের সংখ্যা নজিরবিহীন পর্যায়ে চলে গেছে, সেহেতু সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে বাধা দেওয়া বন্ধ করা উচিত।

বান কি মুন বলেন, ‘আমাদের কিছুটা সংহতি, উদ্দেশ্যের ঐক্য প্রয়োজন; বিশেষত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে। যখন তারা বিভক্ত হয়ে যায়, তখন জাতিসংঘের পক্ষে কোনো কাজ করা প্রচণ্ড মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই আমি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের তাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে নজর দিতে বলব। আমাদের বিশ্বের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।’

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘যখন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা কোনো ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, তখন আমরা এর দ্রুত ও অসাধারণ প্রভাব, যা সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র তদন্তের ক্ষেত্রে দেখেছি।’



মন্তব্য চালু নেই