পুলিশ জানে না

সীমান্ত অস্থিতিশীল করে তুলতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে কুতুপালংয়ে গোপন বৈঠক

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের চরম নির্যাতনের ধোয়া তুলে নাফনদী ও স্থলপথ দিয়ে রোহিঙ্গাদের এদেশে চলে আসার উৎসাহ যোগাচ্ছে বিদেশী এনজিও সংস্থা এমএসএফ হল্যান্ডের নিয়োজিত কর্মকর্তারা। অভিযোগ উঠেছে সাবেক শিবির ক্যাডার সেলিম বাদশা বিদেশী নাগরিকদের ভুল বুঝিয়ে এ তৎপরতা লক্ষ্যে যাতে বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যম, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সন্দেহ করতে না পারে সে জন্য সে প্রতিমাসে লিয়াঁজোর দায়িত্ব পালনের অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা শরনার্থী এলাকা সংলগ্ন এমএসএফ কার্যালয়ে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংশি¬ষ্টদের সাথে উক্ত এনজিওর কতিপয় কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১২সালের দিকে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে মুসলিমদের উপর চরম নির্যাতন করছে এমন অভিযোগের কথা বলে নাফনদী স্থল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন বস্তিতে আশ্রয় নেয় প্রায় ৫০হাজার রোহিঙ্গা। পরবর্র্তী সময়ে সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র চোঁখ ফাঁকি দিয়ে আরো ২০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা উপজেলার বনভূমির জায়গা দখল করে ঝুপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। এসুবাধে ৭০ হাজার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবার নামে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুতুপালং এলাকায় এনজিও সংস্থা এমএসএফ হল্যান্ড রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এর ফলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে ভিটাবাড়ি ছেড়ে এদেশে চলে আসতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে চলতি বর্ষাকালে এবং ঈদের পূর্বে রমজানের মধ্যে মিয়ানমারের আরকান থেকে আরো ব্যাপক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়ে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংশি¬ষ্ট একাধিক এনজিওর সাথে এমএসএফ হল্যান্ডের কতিপয় কর্মকর্তার গতকাল বুধবার দুপুরে এমএসএফ ক্লিনিকে একটি গোপন কক্ষে বৈঠক করেছে।

অভিযোগ উঠেছে ওই এনজিও তে কর্মরত কক্সবাজার জেলা দুর্ধষ শিবির ক্যাডার সেলিম বাদশার উদ্যোগে এ বৈঠকটি অনুষ্টিত হওয়ায় জনমনে আরো সীমান্ত উত্তেজনা সহ নানা নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে অবাধে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি সীমান্ত এলাকায় কঠোরতা অবলম্বন করে। রাখাইন প্রদেশকে রোহিঙ্গা মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে রোহিঙ্গাদের ঠেলে দিতে না পারায় সম্প্রতি টেকনাফের বিজিবির নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে চরম ভাবে নির্যাতন করেছিল মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি।

এ ছাড়াও মিয়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে স্থায়ী করণের নানা ষড়যন্ত্র ও অপ্রচেষ্টায় রয়েছে উক্ত এনজি সহ একাধিক রোহিঙ্গা জঙ্গি সংশি¬ষ্ট সংগঠন। উলে¬খ্য যে, তৎকালীন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী রোহিঙ্গাদের কোন ধরণের সাহায্য সহযোগিতা না করতে বিধি নিষেধ আরোপ করলেও ওই শিবির ক্যাডারের কারণে এমএসএফ হল্যান্ড এনজিও সংস্থা পুরোদমে রোহিঙ্গাদের এ দেশে চলে আসার জন্য উস্কানি দিয়ে নানা ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।

এ ব্যাপারে এমএসএফ হল্যান্ডের কথিত লিয়াজো অফিসার সেলিম বাদশা কুতুপালংয়ে বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাবিবুর রহমান উখিয়ার কুতুপালংয়ে এধরণের এনজিওদের গোপন বৈঠকের কথা তার জানা নেই বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই