রাজধানীতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

“সুন্দরবনকে ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প জনগণ মানবে না”

ভারতকে কয়লা বিক্রির সুবিধা দেয়া ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। সুস্থবিবেক সম্পন্ন কোনো মানুষ এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের পক্ষে কথা বলেছেন বলে পত্রপত্রিকায় প্রমাণ নেই। এরপরও ক্ষমতাসীনরা ভারতের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানীকে উক্ত বিদ্যুত প্রকল্প করতে দেয়ার জেদ দেখালে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।

আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের মহানগর আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মওলানা রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখওয়াত হুসাইন,বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান, মওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূইয়া.আজমল হোসেন, ছাত্রনেতা আবদুল কাদির প্রমূখ।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা সুন্দরবনের বনাঞ্চল, পরিবেশ ও জীবসম্পদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের অস্থিত্বকে বিপন্ন করবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এই প্রকল্প হবে কয়লাভিত্তিক, যার নির্মাণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরুৎসাহিত করা হয়, এটি কোনোভাবেই পরিবেশবান্ধব নয় এবং মানুষ ও জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যান্য ধরনের যেকোনও ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়ে পরিবেশে। এছাড়া রয়েছে বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, ক্যাডমিয়াম, লেড, ছাই ইত্যাদি গ্যাস ও ভারী ধাতুর পরিবেশে নির্গমন, ফলে এসিড-বৃষ্টি অবধারিত, ফলে অনায়সে ধসে পড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছগাছালি ও প্রাণীদের জীবনচক্র, তাদের খাদ্য ও বায়ু বিষাক্ত হয়ে পড়বে। ফলে দেখা দিবে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি। তারা আরও বলেন, এ প্রকল্প হাতে নেয়ার আগে জনমত যাচাই করা উচিত ছিল। অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সুন্দরবন রক্ষার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই