সুন্দরবনের বাঘ জরিপের ফলাফল অচিরেই

‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের জরিপ করা হয়েছে। জরিপের ফলাফল অচিরেই প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে বুধবার চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পৃথক দুই প্রশ্নের উত্তরে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সংসদকে এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় পাগমার্কের ভিত্তিতে জরিপ অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি পাওয়া গিয়েছিল। পাগমার্ক পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটি বাঘ জরিপের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয়। সম্প্রতি ‘Strengthening Regional Cooperation for Wildlife Protection’ প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের জরিপ করা হয়েছে। জরিপের ফলাফল অচিরেই প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা আনুমানিক এক থেকে দেড় লাখ এবং কুমিরের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০টি এবং বানরের সংখ্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার।

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের হরিণ ও বাঘের শিকারীদের এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর শাস্তির বিধান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওই আইনের বাঘ শিকারীর দুই থেকে সাত বছরের জেল এবং এক থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৬ জুন থেকে ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট পাঁচ বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, র‌্যাবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে বন-সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। বাঘ ও হরিণ পাচারকারীদের তৎপরতা রোধে বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন এ্যাক্টিভিটি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই