‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগের ভরাডুবি হবে’

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে, তাই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন বাঁচাও, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠেকাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়া সাইবার ফোর্স।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বলেছেন, আসুন আমরা আলোচনায় বসি। আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের একটা সমাধান নিয়ে আসি। কিন্তু তারা আলোচনায় যেতে চায় না। কারণ তারা জানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। তারা গণতন্ত্রে ফিরে আসতে চায় না। সে কারণে তারা বলে গণতন্ত্র তাদের সেকেন্ডারি বিষয়, প্রাথমিক বিষয় নয়।’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতবর্ষে কোনো জায়গায় নির্মাণ করতে পারেনি। সেখানের ৪টি জায়গায় করতে চেয়েছিল, কিন্তু জনগণের বিরোধিতায় তাদের সরকার নতি স্বীকার করেছে। কারণ ভারতের সরকার জনগণের সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই জনগণের কাছে নতি স্বীকার করেছে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেনি। কিন্তু আমাদের সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বদ্ধ পরিকর। কারণ তারাতো কমিটমেন্ট করেছে যাদের কাছ থেকে এটি নিয়ে এসেছে তাদের কাছে। যে আমরা এটি করবো।’

নির্বাচন এখন নাটক, প্রহসন ও হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার একে একে আমাদের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা রক্তের বিনিময়ে যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম তা ধ্বংস করে দিয়েছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে এবং একটি কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ছিল, জনগণ মেনে নিয়েছিল তাও ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন নাটক, প্রহসন ও হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার আজকে মানুষের জীবন ও সম্পদ নিরাপদে রাখতে পারছে না। মানুষের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখতে পারছে না। এই সরকার জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করেনা বলেই রামপালের মত গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে চলছে।’

মির্জা ফখরুল রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ জন্য আগে খুলনার জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে এরপর সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে এর বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবে না। শ্রদ্ধেয় আনু মুহাম্মদ সাহেবরা যে আন্দোলন করছেন তাদের আন্দোলন আমরা সমর্থন করি, সমর্থন দিয়েছি। তাদের উচিৎ হবে আমাদের এই সমর্থনটিকে গ্রহণ করা এবং সমগ্র জাতিকে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এগিয়ে আসা।’

এ সময় আওয়ামী লীগ তাদের কাউন্সিল থেকে জাতিকে কিছু দিতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা নিয়ে তথ্যবহুল মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান।

আলোচনা সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন-সহ বিএনপির বিভিন্ন সংঠনের নেতা-কর্মী।



মন্তব্য চালু নেই