সূরা ফাতিহা পড়ার পরই ছোড়া হয় বোমা

জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন ইকামত দেয়ার পরই ঈমাম আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করেন। ইমাম সুরা ফাতিহা পড়া শেষ করে দ্বিতীয় সুরা শুরু করবেন ঠিক এমন সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় দু’টি বোমা।

এমনটাই জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) হারুনুর রশীদ হাজারী। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রথম রাকাতেই এই হামলা চালানো হয়। সুরা ফাতিহা পড়ার পরই দুটো বোমা ছোড়া হয়। তবে তৃতীয় বোমাটি ছোড়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরা রমজান নামে নৌবাহিনীর একজন ব্যাটম্যানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

হামলার সময় মসজিদে দুশোজনের মতো মুসল্লি নামাজ পড়ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে এর মধ্যে আহত হয়েছে ছয়জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। হারুনুর রশীদ হাজারী বলেন, ‘জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার জন্যই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ মসজিদটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং র‍্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) জাহেদুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে।

একটি ঈশা খাঁ ঘাঁটির কাছে, আরেকটা হাসপাতালের কাছে। দুটো মসজিদের ভেতরেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। বেশকিছু বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় বাইরে পাওয়া গেছে। ছয়জন মুসল্লি আহত। তারা সবাই নৌবাহিনীর বেসামরিক কর্মকর্তা।’

জানা গেছে, অত্যন্ত সংরক্ষিত একটি এলাকায় নৌবাহিনীর এ দুই মসজিদ। সাধারণ লোকজনের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। সাধারণত কলোনির লোকজনই সেখানে নামাজ পড়তে যান।

এদিকে বোমা হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে নৌবাহিনীর আরো এক সদস্যকে আটক করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ। মান্নান নামে এ বলপিকার ছয় মাস আগে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। সূত্র: বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই