সেই এসপির বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেল দুদক

দুর্নীতির মামলায় ৩৫ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রেলওয়ে পুলিশের প্রাক্তন এসপি মোস্তফা কামালকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদককে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

গত বছরের ৪ জুন দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে রেলওয়ে পুলিশের এসপি মোস্তফা কামালকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পুলিশের প্রাক্তন এই কর্মকর্তার আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সেটি গ্রহণ করে, আজ আপিল করার অনুমতি দেন।

২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর এসএ পরিবহণের স্বত্বাধিকারী সালাহ উদ্দিন আহমেদের করা দুর্নীতি মামলায় মোস্তফা কামালকে ৩৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। মোট ৩৫ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মোস্তফা কামাল।

২০০৩ সালের ২০ নভেম্বর এসএ পরিবহণের স্বত্বাধিকারী সালাহ উদ্দিন আহমদ এসপি মোস্তফা কামাল ও হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার এসআই ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

এসএ পরিবহনের মালিক নিজ গাড়িতে ২০ লাখ টাকা নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলেন। পথে হবিগঞ্জের মাধবপুরে তল্লাশির নাম করে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। বাদী তার পরিচয় দিলে রাতে টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করতে বলে জানায় পুলিশ। জিডি করতে থানায় গেলে হবিগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোস্তফা কামাল সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ সঙ্গীদের হাজতে ঢোকাতে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে নির্দেশ দেন।

বাদী উল্লেখ করেন, পরবর্তী সময়ে আসামিরা বাদীর হেড অফিসে খবর পাঠান, আটককৃতকে ২০ লাখ টাকাসহ ৫০ লাখ টাকা দিলে সবাইকে ম্যানেজ করে মামলাগুলো থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। কিন্তু সালাহ উদ্দিন আহমেদ তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তাকে আটক করে তার নামে অর্থপাচার, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে পুলিশ। পরে মামলাগুলোয় জামিনে মুক্ত হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন



মন্তব্য চালু নেই