সেই পুলিশই দিল পুরস্কার

মাসখানেক আগে তারা ছিল ‘মানবপাচারকারী’। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজে তাদের ছবি প্রচার হয়েছিল দাগী আসামি হিসেবে। জামিনে মুক্ত থাকা সেই সব ‘দাগী আসামিদের’ ডেকে স্বয়ং পুলিশ কমিশনার কথা বললেন, দুঃখ প্রকাশ করলেন, পুরস্কারও দিলেন। সেই ছবি আবার প্রকাশিত হলো ডিএমপির ফেসবুক পেজেও।

গত ১২ সেপ্টেম্বর অদম্য বাংলাদেশের ৪ তরুণকে মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মানবপাচারকারী হিসেবে এই ৪ তরুণের ছবি প্রকাশ করা হয় ফেসবুকে। এই ছবির প্রতিক্রিয়া হয় তীব্র। শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারী এই ছবির নিচে প্রতিবাদ করে কমেন্ট লিখেন। সোশাল মিডিয়াতে তোলপাড় শুরু হয়। এই তোলপাড়ের ঝাপটায় টনক নড়ে প্রশাসনের । কয়েক দফা জামিন নাকচ হওয়ার পর বিতর্ক ওঠে তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের হস্তক্ষেপে অবশেষে ৩৮ দিন কারাভোগের পর ১৯ অক্টোবর তারা জামিনে বেরিয়ে আসেন।

মজার স্কুলের আরিফ আরিয়ান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সাথে। এরপর গত সপ্তাহে এটুআই প্রজেক্ট ডিরেক্টর কবির বিন আনোয়ারের সাথে তারা একটি মতবিনিময় সভায় বসেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হলো। মজার স্কুল সব সময় পুলিশের সহায়তা পাবে, এমন আশ্বাসও মিলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, পুলিশ কমিশনার তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। বলেছেন, তোমরা মনোবল হারিও না, কাজ করে যাও। পুলিশ তোমাদের পাশে থাকবে।

অদম্য চার তরুণ-২

অবশ্য এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কমিশনারের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিএমপি কমিশনার জনাব মো. আছাদুজ্জামান মিয়া মজার স্কুলের এই চার তরুণের হাতে পুরস্কারের ব্যাগ তুলে দেন। কী ছিল সেই ব্যাগে? আরিফ জানান- কলম, ডিএমপির ক্রেস্ট, ডায়েরি আর ক্যাপ।



মন্তব্য চালু নেই