সেই হাতিটি এখন বগুড়ার চরে

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর বলেশ্বর চরে আটকা পড়ে আছে ভারত থেকে আসা সেই বন্য হাতিটি। শুক্রবার রাত পর্যন্তও উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই হাতিটি সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের হরিরামপুর চরে জনবসতিতে প্রবেশ করে কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে করে চরের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে চরের বাসিন্দারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হাতিটিকে ধাওয়া করে যমুনা নদীতে নামিয়ে দেন।

পরদিন শুক্রবার সকাল এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন নৌকা নিয়ে হাতিটি দেখতে আসছে। কিন্তু নৌকা ভিড়তে গেলেই হাতিটি তাড়া করছে।

রংপুর বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, এই হাতিটি গত ২৮ জুন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে কয়েক দিন হাতিটি ব্রহ্মপুত্র নদের চরবাগুয়ার চরে আটকা ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরহাগড়া থেকে স্রোতের পানিতে ভাসতে ভাসতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পাতিলতলা চরে আটকা পড়ে।

তিনি আরো বলেন, ‘হাতিটি উদ্ধারে ভারতীয় দল আসার কথা থাকলেও তারা আসেনি। এ কারণে আমরা হাতিটিকে উদ্ধার করতে পারছি না। হাতিটি এখন খুবই ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত।’

সারিয়াকান্দি উপজেলার চলুয়াবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার জানান, দুর্গম বলেশ্বর চরে হাতিটি আটকা পড়েছে। লোকজন তার কাছে যেতে পারছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হলেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হাতিটি উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বগুড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, যমুনার চরে হাতি আটকা পড়ার কোনো খবর তিনি জানেন না।



মন্তব্য চালু নেই