সেই ৫টি ‘খারাপ খাবার’ এখন পুষ্টিবিদদের কাছে ‘ভালো খাবার’

‘স্বাস্থ্যসম্মত নয়’ এমন তকমা দিয়ে সাধের যে খাবারগুলোকে এতোদিন দূরে সরিয়ে রেখেছেন, এবার সময় এসেছে এসব খাবার আপন করে নেয়ার। কারণ সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে ডিম, আলুর মতো খাবার অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। লন্ডনের কিংস কলেজের পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ‘স্বাস্থ্যসম্মত নয়’ বলে পরিচিত কিছু খাবার নিয়ে গবেষণা চালায়। এতে দেখা যায়, প্রচলিত ধারণা সত্যি তো নয়ই, বরং উল্টো। অর্থা ডিম, আলু, মাখনের মতো খাবার পুষ্টিকর এবং দেহের গঠন ও বিকাশে প্রয়োজনীয়।

ডিম: দীর্ঘদিন ধরে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্তে ক্লোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে অবিশ^াস্য ভাবে গত ২০ বছর ধরে করা পুষ্টিবিজ্ঞান এবং মেডিকেল রিসার্চে এটি একবারও প্রমাণিত হয়নি। বরং প্রচলিত ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ডিম হচ্ছে আমিষ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

মাখন: পুষ্টিবিজ্ঞানের জগতে সম্ভবত মাখন নিয়ে সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। মাখনে বিদ্যমান রয়েছে ভেজিটেবল ফ্যাট। আর সংশয়ের জায়গা এটাই। ভেজিটেবল ফ্যাট কি স্বাস্থ্যসম্মত নাকি নয়। সহজ উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ আপনি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন ভেজিটেবল ফ্যাট।

আলু: খুব অল্প কিছু সবজিকে স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে বিবেচনা করা হয়। আলু সেরকম একটি সবজি। আলুতে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, বি এবং খনিজ। আলু আঁশযুক্ত এবং গাট ব্যাকটেরিয়ার উন্নয়নে কাজ করে।

বাদাম: উচ্চ মাত্রায় ফ্যাট এবং ক্যালরি থাকার কারণে ওজন কমাতে যারা আগ্রহী তাদের খাবারের মেনুতে একেবারে কালো তালিকাভুক্ত বাদাম। কিন্তু এটি প্রমাণিত যে বাদাম শুধু স্বাস্থ্যকরই নয় বরং ওজন নিয়ন্ত্রণেও পারদর্শী। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশিয়ানে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, বাদাম খেলে হৃদরোগ ঝুঁকি কমে।

দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, মাখন, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার নিয়ে রয়েছে দ্বিমত। অনেকের মতেই এসব খাবার হজমে গ-গোল বাধায়। তবে সম্প্রতি প্রমাণিত যে, এসব খাবারে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম।



মন্তব্য চালু নেই