সেতু ভেঙে পড়ে যে ৫ কারণে

সেতুর কাজ সংযোগ নির্মাণ। সেতু পার হওয়ার সময়ে খেয়ালই থাকে না, এটাও একটা কনস্ট্রাকশন। আর পাঁচটা স্থাপত্যের মতো তারও আয়ু রয়েছে, অসুখ রয়েছে, রয়েছে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। কেন ভেঙে পড়ে সেতু, ৫টি প্রধান কারণকে জেনে রাখুন। ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।

১) ভূমিকম্প: শুধু সেতু নয়, যে কোনও নির্মাণই বিপর্যস্ত হতে পারে ভূকম্পে। সত্যি বলতে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন অন্য কনস্ট্রাকশনের চাইতে ভেঙে পড়া সেতু ভূকম্পের অনেক বেশি পরিচিত ইমেজ। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, ভূকম্পনে বিপর্যস্ত সেতুর সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়।

২) অগ্নিকাণ্ড: আগুন লেগে সেতু-বিপর্যয়ের ঘটনা খুবই বিরল। সেতু নির্মাণের কালে অগ্নি-রোধক ব্যবস্থা নেওয়াটা অবশ্যকর্তব্য। তাতেও কি সব সময়ে সেতুভঙ্গ রোধ করা গিয়েছে? ২০০৯-এ আমেরিকার ডেট্রয়েটে একটি ট্যাঙ্কার এক সেতুর তলায় ফেটে গেলে সেতুটিতে আগুন লেগে যায়। এবং সেতুটি ভেঙে পড়ে।

৩) বন্যা: বন্যায় সেতু-বিপর্যয়ের ঘটনা বেশ কমন। বন্যা-প্লাবিত নদী বয়ে নিয়ে আসে বিরাট গাছ, বড় পাথর, অন্য কনস্ট্রাকশনের ভাঙা অংশ। তারা গিয়ে সেতুতে ধাক্কা মারতে মারতে এক সময়ে ভেঙে ফেলে। তবে এই প্রক্রিয়ায় সেতু দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু এতে তার ক্ষয় ভালই হয়। তবে বন্যাবাহিত গাছ-পাথর ইত্যাদি সেতুর উপরে জমা হয়ে সেতুকে ভেঙে ফেলতে পারে। তা ছাড়া, ক্রমাগত বন্যায় সেতু ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। একসময়ে ভেঙে পড়ে।

৪) নির্মীয়মাণ অবস্থায় ভেঙে পড়া: এই ঘটনা বিরল নয়। বিশ্বের একটা বড় সংখ্যক সেতু-দুর্ঘটনা নির্মীয়মাণ অবস্থাতেই ঘটেছে। কানাডায় ১৯০৭ সালের কুইবেক ব্রিজের বিপর্যয় থেকে কলকাতার সাম্প্রতিক উড়ালপুল বিপর্যয় এর উদাহরণ।

৫) নকশায় গণ্ডগোল থাকলে: নির্মিত হওয়ার পরে নকশায় গণ্ডগোল থাকলে, নির্মাণে ত্রুটি থাকলে, দীর্ঘকাল রক্ষণাবেক্ষণ না-হলে সেতু ভেঙে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই