সৈকতজুড়ে ৪২০টি রক্তমাখা অন্তর্বাস!

মাঝেমধ্যে একটি ঘটনাই সব ঘটনার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে তনু হত্যার বিচার যেন তেমনই ছিল। ফুঁসছে ব্রাজিল। ঘটনা ওই একই, ধর্ষণ। দু-সপ্তাহ আগে বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ব্রাজিলের রাজধানী রিও-র মেয়েটি। দু-দিন ধরে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে, বন্দুকের নলের সামনে ৩৩ জন মিলে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষকদের একজন আবার তারই প্রেমিক! পাশবিকতায় তনু হত্যার চেয়ে কোনোও অংশে কম নয়। তনুকে ঘিরে যেভাবে একটা আন্দোলন দানা বেঁধেছিল, ঠিক সেভাবেই আন্দোলন চলছে ব্রাজিলে।

সে সব আন্দোলনেরই মূল সুর এক সূত্রে বাঁধা, ‘আর চুপ নয়। ওঠো, জাগো। নীরবতা ভেঙে সোচ্চার হও।’ সেই সোচ্চারের ভাষা যে সবসময় রাস্তায় নেমে আসা, কান-ফাটানো চিত্‍‌কার হতে হবে, হতে হবে সংঘর্ষ, তা নাও হতে পারে। নির্বাক ছবিও তো অনেক কথাই বলে। যেমন বলল সেদিন, কোপাকাবানা বিচে। অভাবনীয়, জোরালো সে প্রতিবাদ।

সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা গুনে গুনে ৪২০টি রক্তমাখা অন্তর্বাস। একটি কমও নয়, একটি বেশিও নয়। যাকে বলে ইনস্টলেশন আর্ট, তাই প্রতীকী প্রতিবাদ। ৪২০টিই কেন? রিও-র এক তরুণী প্রিসালা জানালেন, প্রতি ৭২ ঘণ্টায় গড়ে ৪২০ মেয়ে ধর্ষিত হন ব্রাজিলে। তা মাথায় রেখেই এই প্রতিবাদের পরিকল্পনা।

আয়োজকরা জানালেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার এই ২০ তরুণীর ছবিও সাজানো হয়েছে সেখানে। এত দেরিতে প্রতিবাদ কেন? প্রশ্নে আয়োজকদের জবাব, বাচ্চারা বাড়িতে হিংসা দেখতে দেখতে সেটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছে। এভাবে হিংসা তো একদিন গা সাওয়া হয়ে যাবে। তাই এ বার সময় হয়েছে নীরবতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার। তাই অকপটে ব্রাজিলের মেয়েরাও শপথ নিচ্ছেন, ‘আই উইল নেভার বি সাইলেন্সড’। দ্য ওয়ার্ল্ড পোস্ট



মন্তব্য চালু নেই