সৈয়দপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন ব্রীজটি হুমকির মুখে

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পঁচা নালার ওপর দেয়া ব্রীজটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেও আন্তরিকতার অভাবে সেটি নতুন করে করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এলাকাবসীর অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ, প্রায় ৪/৫ বছর আগে ওই ব্রীজটির পিলার ও গ্রেট বীম ভেঙ্গে গিয়ে বাঁকা হয়ে যায়। ছোট ছোট গাড়ি চলাচল করলেও ব্রীজটি কেঁপে ওঠে। ওই ব্রীজটি হয়ে উপজেলার পার্বতীপুর, বেলাইচন্ডী ও আশপাশ এলাকা থেকে সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর কারিগরী স্কুল ও কলেজে আসা সহ শহরের যোগাযোগের সহজ পথ এটি। তাই দুই থানার লোকজন এ সহজ পথটি বেছে নেয় চলাচলের জন্য। ব্রীজটির আশপাশ এলাকায় অসংখ্য লোকের বসবাস। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে এই ব্রীজ দিয়ে।

পিকআপ চালক কালাম বলেন, ৪/৫ বছর হয় এ ব্রীজটি বেঁকে আছে। গাড়ী নিয়ে পারাপার করতে ভেঙ্গে পড়ার ভয় হয়। কিন্তু পেটের তাগিদে চলাচল করতে হয়ে বাধ্য হয়েই।

সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা বলেন, এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করার সময় মনে হয় এখনই ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়বে।

নাগরিক উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আলী সরকার বলেন, সৈয়দপুর হল প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এ শহর উন্নয়নে ৫ বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে নালা নর্দমা, কালভার্ট, ব্রীজ নির্মাণসহ রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মাণের কথা উল্লেখ থাকে। প্রতিটি বাজেটে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও শতভাগ বাস্তবায়ন হয় না। বাজেটের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ করলে ওই ব্রীজটি অনেক আগেই নির্মাণ হতো। লাঘব হতো শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলের সমস্যা। ওই ব্রীজটি অতিসত্বর নির্মাণ করার জোর দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কথা হয় পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের সাথে। তিনি বলেন, পৌর পরিষদের তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তার মধ্যেও শহরের সব রাস্তাই নতুন ভাবে পাকা করা হয়েছে । তাছাড়া ওই ব্রীজটি করতে গেলে ১ কোটি টাকার দরকার যা আমাদের নেই ।
অর্থ থাকলে অনেক আগেই ব্রীজটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।



মন্তব্য চালু নেই