সৈয়দ আশরাফের সামনেই আ’লীগের সম্মেলনে মারামারি

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পরপরই সম্মেলনস্থলে হট্টগোল ও ভাঙচুর করেছে নেতাকর্মীরা।

সুনামগঞ্জ জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে আলহাজ মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের নাম ঘোষণার পরই এ হট্টগোল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নুরুল হুদা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সৈয়দ আশরাফের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। ‘মানি না, মানি না’ বলে হঠাৎ করেই তারা সম্মেলনের চেয়ার ভাঙচুর শুরু করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে পুলিশ তখন সম্মেলনের প্রধান অতিথি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ডাবলু ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ব্যারিকেড দিয়ে সম্মেলনস্থলের বাইরে নিয়ে যায়।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম গ্রুপের নেতাকর্মীরা সেদিন জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন― বর্ধিত সভায় দলের ‘ত্যাগী নেতাকর্মীদের’ দাওয়াত দেওয়া হয়নি। উপরন্তু ‘চিহ্নিত রাজাকার’ সৈয়দ রফিকুল হক সোহেলকে স্টেজে বসানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন।



মন্তব্য চালু নেই