সোনালি আঁশের হারানো দিন ফেরানোর আশা

সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের হারানো দিন ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে এবার নতুন পাটনীতি করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত এ নীতির খসড়ায় পাট শিল্পের উন্নয়নে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনে গবেষণা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনে জোর দেয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পাটনীতি-২০১৬ নিয়ে আলোচনায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

কমিটি পাটপণ্য উৎপাদন ও প্রযুক্তির উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য একটি ‘পাটপণ্য ও পাট প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা অংশ নেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনগুলোর চেয়ারম্যানবৃন্দসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশে-বিদেশে প্রতিযোগিতায় সক্ষম শক্তিশালী পাট খাত প্রতিষ্ঠার দূরদৃষ্টি নিয়ে পাট অধিদফতর কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘পাটনীতি ২০১৬’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কমিটি বর্তমান বিশ্বে পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে আবারো পাটের ব্যাপক সম্ভাবনার কারণে পাটশিল্পের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে সরকারের অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা পাটনীতিতে প্রতিফলনের সুপারিশ করে।

পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ ডিজাইন ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে পাট খাতে নতুন নতুন ধারণার উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা এবং পাটপণ্য ও বহুমুখি পাটপণ্যের উৎপাদন ও উন্নয়নের গবেষণা কার্যক্রমে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৈঠকে পাট উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ফলপ্রসূ আলোচনা ও বিষয়টির হালনাগাদ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে রেশম চাষের বিষয়ে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ এবং রেশম বোর্ডের ২০১৬-২০১৭ সালের কর্ম পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হয়।

কমিটির সদস্যরা প্রকল্পের সঙ্গে তুঁত চাষ সমন্বয় কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, রেশম খাতে বর্তমান অর্জন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন ও অভিযোগ প্রতিকারের মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই